রাশিয়ার মূল লক্ষ্য এখন রাজধানী কিভ দখল করা করা। সেই লক্ষ্যে তারা যুদ্ধকে আরও প্রসারিত করে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে। শনিবারই আমেরিকা ঘোষণা করেছে, তারা ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ২০ কোটি ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ১,৫০০ কোটি টাকার কিছু বেশি) অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাঠাবে।
ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনের একাধিক শহরে রুশ বাহিনী তাদের বোমাবর্ষণ আরও তীব্র করেছে। দেশের দক্ষিণ বন্দরের পূর্ব দিকের বেশ খানিকটা অংশ তারা ইতিমধ্যেই দখল করেছে বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, শহরগুলিতে তাদের দখলের পক্ষে রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে তারা প্রচারও চালাচ্ছে।
রাশিয়ার মূল লক্ষ্য এখন রাজধানী কিভ দখল করা করা। সেই লক্ষ্যে তারা যুদ্ধকে আরও প্রসারিত করে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে। শনিবারই আমেরিকা ঘোষণা করেছে, তারা ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ২০ কোটি ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ১,৫০০ কোটি টাকার কিছু বেশি) অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাঠাবে। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই হোয়াইট হাউসকে সতর্ক করে ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা এ বার ইউক্রেনে অস্ত্রবহনকারী কনভয়গুলোকে লক্ষ্য করেই হামলা চালাবে।
ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, ‘‘মারিয়োপোল, খারকিভ, চেরনিহিভ-সহ একাধিক শহরের বোমাবর্ষণ করেছে রাশিয়া। খেরসন শহরে জনসমর্থন পেতে রাশিয়া সেখানে একটি গণভোটও পরিচালনা করার পরিকল্পনা করেছে।’’ উল্লেখ্য, খেরসনই হল ইউক্রেনের প্রথম প্রধান শহর, যেটি দখল করে রাশিয়া।
খেরসনের উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে খেরসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং এই গণভোট সংগঠিত করতে তাঁদের সাহায্য চাওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘খেরসনে গণপ্রজাতন্ত্র তৈরি হলে তা ওই অঞ্চলের মানুষের কাছে হতাশার বার্তা বয়ে আনবে।’
শনিবার একটি ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আরও সাহায্য চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মানব করিডোর দিয়ে শনিবার ১২,৭২৯ জনকে সরানো সম্ভব হয়েছে।