ইউক্রেন নিয়ে ভোল বদলালেন ট্রাম্প! -ফাইল ছবি।
সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ভোল বদলালেন আমেরিকার পূর্বতন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তাঁর এক ‘হিরো’-র কাজকে ‘জিরো’ (শূন্য) নম্বর দিলেন! আর আমেরিকার জনগণের কাছে এখন যিনি হিরো, তাঁকে জিরো করে দিলেন! একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে ট্রাম্পের মতামত।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আর ভূয়সী প্রশংসার শংসাপত্র না দিয়ে এ বার ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণকে ট্রাম্প বললেন ‘ভয়ঙ্কর’। রাশিয়ার সেনা অভিযানকে আপত্তিকর, নৃশংসতা বলতেও দ্বিধা করেননি তিনি।
আর সেই অভিযানের দায় চাপিয়ে দিলেন তাঁর উত্তরসূরি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাঁধে। সরাসরি তাঁকে অকর্মণ্য বা অপদার্থ না বলে ট্রাম্প বললেন, ‘পুতিন দেখছি বাইডেনকে হাতের পুতুল বানিয়ে ফেলেছেন। এটা দেখতে কষ্ট হচ্ছে।’
ফ্লোরিডায় তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির রাজনৈতিক কর্মসূচি সংক্রান্ত সম্মেলনে বাইডেনের বিরুদ্ধে এই ভাবেই সরাসরি তোপ দাগলেন ট্রাম্প। ইউক্রেন পরিস্থিতিতে তাঁর দেশের জনমত কোন দিকে ঝুঁকছে, তা টের পেয়েই দলের রাজনৈতিক সম্মেলনে তাঁর সপ্তাহখানেক আগের ঘোষিত অবস্থান সম্পূর্ণ বদলে ফেলেন আমেরিকার পূর্বতন প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরুর মুখে কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দরাজ গলায় শংসাপত্র দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ‘বিদ্রোহীদের হাতে থাকা’ ইউক্রেনের কিছু অঞ্চলকে মুক্ত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন বলে সেই সময় পুতিনকে ‘রক্ষাকর্তা’, ‘শান্তির দূত’ তকমা দিতে দ্বিধা করেননি। তাঁর ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনাকে সেই সময় ‘প্রতিভাধরের পদক্ষেপ’-ও বলেছিলেন ট্রাম্প।
মানুষের সঙ্গে এই ‘প্রতারণা’, ‘মানুষের উপর এই অবর্ণনীয় অত্যাচার’ সংঘটিত হতে দেওয়ার জন্য এ বার সেই ট্রাম্পই দলের রাজনৈতিক সম্মেলনে বাইডেনের কড়া সমালোচনা করে বললেন, ‘‘বাইডেনকে দেখছি পুতিনের হাতের পুতুল হয়ে গিয়েছেন। দেখে কষ্ট হচ্ছে। খুবই দুঃখজনক। পুতিনের সঙ্গে আমার যে বন্ধুত্ব ছিল, তাতে হোয়াইট হাউসে আমি থাকলে এটা কিছুতেই হতে পারত না।’’
ট্রাম্প এ-ও বলেছেন, ‘‘ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণ ভয়ঙ্কর। আপত্তিকর। নৃশংসতায় ভরা। ইউক্রেনের দেশপ্রেমী মানুষের জন্য প্রার্থনা করছি।’’