জাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: রয়টার্স।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের জ়াপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই অঞ্চলে লাগাতার গোলাবর্ষণ চলছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুরোধে ইউরোপের সর্ববৃহৎ পরমাণু কেন্দ্রটির অবস্থা পরিদর্শনে এসেছে ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’ (আইএইএ)। এ অবস্থায় রাষ্ট্রপুঞ্জের এক তদন্তকারী কর্তা জানালেন, যুদ্ধ ক্রমশ পশ্চিমি শক্তি বনাম রাশিয়া হয়ে উঠেছে। জ়াপোরিজিয়ায় আইএইএ-র দল পৌঁছতেই জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের মূল লাইনটি বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ার মূল নিশানা ছিল তার শিল্পাঞ্চলগুলি। তার অনেকটাই এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। যেমন ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ়াপোরিজিয়া। রাশিয়াকে রুখতে তার উপরে অসংখ্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপ-আমেরিকা। পাল্টা অস্ত্র হিসেবে রাশিয়া জ্বালানি নিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে ইউরোপের উপরে। বিষয়টি খুব একটা কঠিনও নয় তাদের জন্য, কারণ গোটা ইউরোপে
গত কাল, অর্থাৎ শুক্রবার থেকে হঠাৎই জার্মানিতে জ্বালানি সরবরাহ করার প্রধান গ্যাসলাইনটি বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। সেই সঙ্গে একটি আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তেল রফতানির মূল্য বাড়বে। রাশিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত জ্বালানি সংস্থা গ্যাজ়প্রম জানিয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য জার্মানিতে জ্বালানি সরবরাহ ব্যহত হয়েছে। নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনে গোলমাল। কিন্তু কূটনীতিকদের প্রায় সকলেরই বক্তব্য, এ-ও এক রকম যুদ্ধ।
যুদ্ধ বিশ্লেষকদের অনেকেরই বক্তব্য, বৃহস্পতিবার জ়াপোরিজিয়া পরমাণু কেন্দ্রে পৌঁছেছে আইএইএ। শুক্রবার থেকে জার্মানিতে জ্বালানি সরবরাহের লাইন বন্ধ করেছে রাশিয়া। আজ তারা জানাচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা। পুরোটাই ‘পরিকল্পনামাফিক’ বলে বিশ্বাস বিশ্লেষকদের। গ্যাজ়প্রম এখনও অবধি জানায়নি, কবে সব ঠিক হবে। শীতের আগে জ্বালানির দাম বাড়বে বলে ভয়ে রয়েছে ইউরোপ।