—প্রতীকী ছবি।
স্পাই ক্যামেরা লাগানোকে ঘিরে তুলকালাম বাধল পাকিস্তান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সেনেটে। আজ সেনেটের চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন ছিল। সেখানেই ভোট চলাকালীন বিরোধীদের বিরুদ্ধে ওই গোপন ক্যামেরা লাগানোর অভিযোগ প্রথমে তোলেন তথ্যমন্ত্রী শিবলি ফারাজ়। তাঁর কথায় শাসক দলের বাকি সেনেটরেরা হইচই শুরু করে দেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির সেনেটর নওয়াজ় খোকার দাবি করেন, পোলিং বুথের ঠিক উপরেই স্পাই ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সেনেটর রাজা রব্বানি জানান, এ ভাবে সেনেটে ক্যামেরা লাগানো নিয়ম বিরুদ্ধ। কিছু ক্ষণ পরে পাক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জানান, সম্ভবত সিসি ক্যামেরাকে সেনেটরেরা গোপন ক্যামেরা ভেবে ভুল করেছেন।
হই-হট্টগোলের মধ্যেই অবশ্য গোপন ব্যালটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়েছে আজ দুপুরে। শাসক দল পিটিআই-এর তরফে চেয়ারম্যান পদের জন্য লড়েছিলেন সাদিক সানজরানি। নির্বাচিত হয়ে তিনিই হলেন সর্বকনিষ্ঠ সেনেট চেয়ারম্যান। সাদিক ৪৮টি ভোট পেয়েছেন। তবে তাঁর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বিরোধী জোট পিডিএম-এর প্রার্থী তথা প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজ়া গিলানির সঙ্গে। গিলানির পক্ষে গিয়েছে ৪২টি ভোট। সম্প্রতি সেনেট নির্বাচনে ইসলামাবাদ আসনে জিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-কে সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন গিলানি। পরে অবশ্য পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে জয় পায় ইমরানের দল।