রবার্ট মুগাবে।
সতীর্থ বা সহযোদ্ধা বলে মনে করতেন যাঁদের, তাঁরাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। মানতে পারেননি সত্যিটা। ক্ষোভে-দুঃখে কেঁদে ফেলেছিলেন জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। গত সপ্তাহে জিম্বাবোয়ের সেনাবাহিনী এবং নিজের দলের চাপের মুখে পদত্যাগ করতে রাজি হন মুগাবে। সেই সময়েই জলে ভিজে যায় তাঁর চোখ, জিম্বাবোয়ের একটি দৈনিকের তেমনই দাবি।
মুগাবের ঘনিষ্ঠ সূত্রকে উদ্ধৃত করে তারা লিখেছে, পার্লামেন্ট তাঁকে ইমপিচ করার জন্য প্রস্তাব আলোচনা করছে দেখেই পদত্যাগের কথা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেন মুগাবে। দৈনিকে লেখা হয়েছে, তিনি চোখ নিচু করে ঘনিষ্ঠদের কাছে বলেছিলেন, ‘‘লোকগুলো সব টিকটিকি।’’ মুগাবের যে কাছের বন্ধু সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর হয়ে মধ্যস্থের কাজ করেছিলেন, সেই ফাদার ফিডেলিস মুকোনোরি জানিয়েছেন, পদত্যাগপত্র সই করার পরে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে মুগাবের মুখ। মুকোনোরির কথায়, ‘‘পরে আর ওঁকে ভারাক্রান্ত মনে হয়নি। আমি ওঁকে বলেছিলাম, ভালই তো, আপনি অন্য কাউকে দেশ চালাতে দেখতে পাবেন।’’ এই সব দাবিই করা হয়েছে ওই সংবাদপত্রে।
বেসরকারি এই দৈনিক অবশ্য বরবারই মুগাবের কড়া সমালোচক। এখন তারা চায়, নয়া প্রেসিডেন্ট এমারসন মানগাগওয়া দুর্নীতি দমনে সক্রিয় হোন। দায়িত্বে এসেই নয়া সরকার ইতিমধ্যে মুগাবে এবং তাঁর স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ইগনাটিয়াস চোম্বো।