Naihati by Election

নৈহাটির উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে তিন প্রধান-সহ ফুটবল কর্তার সমর্থন নিয়ে ভিন্ন মত ফিরহাদ-অতীনের

কলকাতা ময়দানের ফুটবলার তথা ফুটবল ক্লাবের শীর্ষকর্তারা বিচ্ছিন্ন ভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর হয়ে ভোটে প্রচার করলেও, একসঙ্গে এক জন প্রার্থীকে সমর্থনের ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করেছেন বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ২২:১৬
Share:

(বাঁ দিকে) মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

নৈহাটির বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-কে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে কলকাতা ফুটবলের তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডান। আর এই অরাজনৈতিক তিন ফুটবল ক্লাবের বড় কর্তাদের ছাড়াও শাসকদলের প্রার্থীর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন এআইএফএ-র সচিবও। আর তাতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আর দলীয় প্রার্থীকে সমর্থনের প্রশ্নে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।

Advertisement

তিন প্রধানের শীর্ষকর্তাদের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে মেয়র ফিরহাদ বলেছেন, ‘‘যদি কেউ ক্রীড়া সংগঠক হন, তাঁর সমর্থনে যদি খেলোয়াড় বা খেলা অনুরাগীরা বলেন যে তিনি ভাল ক্রীড়া সংগঠক, এর মধ্যে অসুবিধা কী আছে ? এআইএফএ-র কল্যাণ চৌবে দাঁড়ালে কোনও অসুবিধা নেই, তা হলে তাঁকে তো আগে সাসপেন্ড করে দেওয়া উচিত এআইএফএ থেকে।’’ প্রসঙ্গত, প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবল দলের গোলকিপার কল্যাণ চৌবে বর্তমানে ভারতীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি। যিনি আবার পশ্চিমবঙ্গের বিজেপিতেও সক্রিয় রয়েছেন। এমনকি, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর থেকে পদ্ম প্রতীকে প্রার্থীও হয়েছিলেন। এ ছাড়াও, ২০২১ বিধানসভা ভোটে এবং ২০২৪ সালের উপনির্বাচনে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি পরাজিত হয়েছেন। তাই সনৎকে কলকাতা ফুটবলের তিন প্রধানের সমর্থনের বিষয়টিকে স্বাভাবিক ঘটনা বলেই মনে করেছেন মেয়র।

তবে ভিন্ন মত পোষণ করে ডেপুটি মেয়র অতীন বলেছেন, ‘‘তাঁরা ব্যক্তিগত ভাবেই সমর্থন করেছেন। যে হেতু ফুটবল জগতের লোক, ফুটবল জগতে সহযোগিতা করেন, ব্যক্তিগত ভাবে তাঁকে অনেক সময় সহযোগিতা করতে হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা বলেছেন।’’ সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘কখনওই মোহনবাগান ক্লাবের সম্পাদক হিসাবে দেবাশিস দত্ত একক ভাবে ক্লাবের পক্ষ থেকে সমর্থন করতে পারেন না। তিনি বলেছেন, ‘যখন আমরা নৈহাটিতে খেলতে যাই, তখন সনৎ আমাদের সাহায্য করেন।’ আর শতর্বষপ্রাচীন ক্লাব যদি কোনও সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিত, তা হলে বৈঠক ডেকে সর্বসম্মতিক্রমেই তা ঘোষণা করত। যে হেতু দলমতনির্বিশেষে সকলে ক্লাবকে সমর্থন করেন, ভালবাসার জায়গাটা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। সেখানে কখনওই ক্লাব থেকে সমর্থন হতে পারে না। এ ক্ষেত্রেও মোহনবাগান নয়, দেবাশিস ব্যক্তিগত ভাবেই সমর্থন দিয়েছেন বলেই মনে করি।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, এর আগেও কলকাতা ময়দানের ফুটবলার তথা ফুটবল ক্লাবের শীর্ষকর্তারা বিক্ষিপ্ত ভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর হয়ে ভোটে প্রচার করলেও, একসঙ্গে একজন প্রার্থীকে সমর্থনের ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করেছেন বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement