সমুদ্রপৃষ্ঠের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী ৯০ কোটি মানুষ বিপদে পড়তে পারেন। ফাইল চিত্র ।
মুম্বই থেকে নিউ ইয়র্ক, সর্বত্রই বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর! আর তা হতে পারে কোনও বড় বিপদের পূর্বাভাস। উদ্বেগ প্রকাশ করে জানালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আন্তোনিও মঙ্গলবার জানিয়েছেন, মুম্বই এবং নিউ ইয়র্কের মতো বড় শহরগুলিতে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। জলবায়ু সঙ্কট সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির মূল কারণ বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
আন্তোনিও বলেন, ‘‘সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে মানুষের ভবিষ্যৎও অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি শুধুমাত্র একটি আশঙ্কা তৈরি করে না। পাশাপাশি আরও অনেক বিপদ ডেকে আনে। বিশ্বের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষ বসবাস করেন। তাঁরা বিপদের মুখে পড়তে পারেন।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে সমুদ্রপৃষ্টের জলস্তর বৃদ্ধি সংক্রান্ত এক সম্মেলনে বক্তৃতা করার সময় এই মন্তব্য করেন আন্তোনিও। তিনি জোর দিয়ে জানিয়েছেন, সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর কেবলমাত্র কিছু এলাকায় নয়, একাধিক দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
তাঁর দাবি, গত তিন হাজার বছরের তুলনায় ১৯০০ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১১ হাজার বছরের তুলনায় গত ১০০ বছরে সমুদ্রের উষ্ণতাও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার পরিসংখ্যান উল্লেখ করে গুতেরেস জানান, বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাবে।
তিনি যোগ করেছেন, ‘‘যদি তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পায়, তা হলে সমুদ্রের জলস্তর দ্বিগুণ বাড়তে পারে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশ, চিন, ভারত এবং নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলিতে ঝুঁকি তৈরি হবে। প্রতিটি মহাদেশের সমুদ্র তীরবর্তী বড় শহরগুলি যেমন— কায়রো, লাগোস, মাপুটো, ব্যাঙ্কক, ঢাকা, জাকার্তা, মুম্বই, সাংহাই, কোপেনহেগেন, লন্ডন, লস অ্যাঞ্জেলস, নিউ ইয়র্ক, এবং সান্তিয়াগো-সহ বহু শহর বড় বিপদের সম্মুখীন হবে।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান উল্লেখ করেছেন সমুদ্রপৃষ্ঠের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী ৯০ কোটি মানুষ বিপদে পড়তে পারেন। তলিয়ে যেতে পারে বহু বাড়িঘর।