ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী হচ্ছেন ঋষি সুনক। —ফাইল চিত্র
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী ঋষি সুনক। তিনি ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তির জামাই। বৃহস্পতিবারই অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গত বছরের জুলাই থেকে তিনি অর্থমন্ত্রকের অধীন ‘চিফ সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি’র দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। এর পর কার্যত নাটকীয় ভাবেই সরাসরি অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন ৩৯ বছরের সুনক।
মন্ত্রিসভায় রদবদলের জেরে নাটকীয় ভাবে বাদ যায় আগের অর্থমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের নাম। ট্রেজারি সেক্রেটারি থাকার সময় এই সাজিদ জাভিদেরই ‘নাম্বার টু’ হিসেবে কাজ করছিলেন সুনক। তাঁকেই এ বার সাজিদ জাভিদের চেয়ারে বসালেন বরিস জনসন। ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর পরেই দ্বিতীয় ক্ষমতাধর হিসেবেই ধরা হয় অর্থমন্ত্রীকে।
অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টিতেও ঋষি সুনক জনপ্রিয় মুখ। তরুণ প্রজন্মের নেতা হিসেবে সাধারণ মানুষের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও যথেষ্ট। আবার সরকারি মুখপাত্র হিসেবে টিভি-রেডিয়ো সাক্ষাৎকারে তাঁকেই পাঠাতেন বরিস জনসন। ফলে ব্রিটেনের আম জনতার মধ্যেও তিনি অতি পরিচিত মুখ। প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম আস্থাভাজনও ছিলেন তিনি। গত বছরের জুলাইয়ে যখন সুনককে ট্রেজারির চিফ সেক্রেটারি করা হয়, তখন কনজারভেটিভ পার্টির ওয়েবসাইটে তাঁকে ‘পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সফরের আগে কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মার্কিন সেনেটররা
২০১৫ সালে ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড কেন্দ্র থেকে প্রথম সাংসদ হন সুনক। থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ‘লোকাল গভর্নমেন্ট’-এর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ২০১৮ সালে। বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর গুরুত্ব আরও বাড়ে। এর পর সরাসরি অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বে।
আরও পড়ুন: সমাবর্তন-সঙ্ঘাত তুঙ্গে, উপাচার্যকে শো কজ, শুরু বরখাস্ত করার ‘বিবেচনা’ও
ব্যাক্তিগত জীবনে নারায়ণমূর্তি ও সুধামূর্তির মেয়ে অক্ষতাকে বিয়ে করেছেন ঋষি। বাবা ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। মা ফার্মাসিস্ট। উইনচেস্টার কলেজ থেকে স্নাতক হন সুনক। তার পর রাজনীতি, দর্শন ও অর্থনীতি নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ-ও করেছেন। রাজনীতিতে আসার আগে গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর মতো সংস্থায় চাকরি করেছেন। পরে নিজের সংস্থা খুলেছেন।