ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। —ফাইল চিত্র।
আট দিনের সফর যে আট মাসে পরিণত হবে, তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। এ বার আরও পিছোল ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের ঘরে ফেরার দিন। বলা হয়েছিল, ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে এবং বুচ উইলমোরকে নিয়ে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। সুনীতাদের ফেরার দিন আরও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মার্চ মাসের আগে তাঁদের ফেরা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
বুধবার নাসা জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে চার সদস্যের ক্রিউ-১০ মিশন মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেবে। তাতেই পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতা এবং বুচ। তাঁদের সঙ্গে ফিরবেন নাসার আধিকারিক নিক হেগ ও রুশ নভশ্চর আলেকজ়ান্দের গর্বোনভও। সুনীতাদের ফেরাতে তাঁরা মহাকাশে গিয়েছেন। ক্রিউ-১০ মিশন ফেব্রুয়ারি মাসে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নাসার আধিকারিকেরা একটি নতুন ড্রাগন মহাকাশযান তৈরির কাজে ব্যস্ত। তা শেষ করতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগছে। সেই সময় দিতেই সুনীতাদের ফিরে আসার দিন পিছিয়ে দিতে হয়েছে।
মার্চ মাসের শেষের দিকে সুনীতারা ফিরতে পারেন, জানিয়েছে নাসা। তবে তারা এখনও নির্দিষ্ট কোনও তারিখ ঘোষণা করেনি।
চলতি বছরের জুন মাসে মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। আট দিন পরেই তাঁদের ফিরে আসার কথা ছিল পৃথিবীতে। কিন্তু যে বোয়িং স্টারলাইনারে চড়ে তাঁরা মহাকাশে গিয়েছিলেন, তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ওই মহাকাশযানে সুনীতাদের ফেরানোর ঝুঁকি নেয়নি আমেরিকার সংস্থা। ফলে আট মাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে আটকে পড়েন দুই নভশ্চর। তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে।
সুনীতাদের ফেরানোর জন্য স্পেস এক্সের সাহায্য নিয়েছে নাসা। তাদের মহাকাশযান সেপ্টেম্বর মাসেই মহাকাশে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু সুনীতাদের নিয়ে তার ফিরে আসার দিন আরও পিছিয়ে গেল। ইতিমধ্যে মহাকাশে সুনীতা নিজের জন্মদিন পালন করেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ভোট দিয়েছেন সেখান থেকেই। একাধিক বার ভিডিয়ো সম্প্রচারে কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তাঁর ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছেন অনুরাগীরা।