বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর, তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। ছবি- টুইটার থেকে সংগৃহীত।
বাংলাদেশে আটকে পড়া এ রাজ্যের বাসিন্দারা বিশেষ বিমানে ফিরলেন কলকাতায়। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় লকডাউন ঘোষণার পর প্রতিবেশী দেশে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা। সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ ১৬৯ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর, তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাঁরা ফিরছেন তাঁদের ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকতে হবে।
স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, বিদেশ থেকে যাঁরা ফিরবেন, তাঁরা যদি সরকারি কোয়রান্টিনে থাকতে চান, সেখানে নিখরচায় ব্যবস্থাও করা হবে। এ ছাড়াও তাঁরা যদি হোটেলে নিজের খরচায় থাকতে চান, সেই বন্দোবস্তও রয়েছে।
যে সব হোটেল থাকার ব্যবস্থা রয়েছে, যাত্রীদের কাছে তার একটি তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বেশির ভাগই সরকারি কোয়রান্টিনে থাকে চেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ভিন দেশে আটকে পড়াদের ফেরাতে কেন্দ্রের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছে রাজ্য। ‘বন্দে ভারত মিশন’-এ ইতিমধ্যেই এ দেশের বহু মানুষই ফিরে এসেছেন। পর্যটক থেকে ব্যবসায়ী, পড়ুয়া-সহ অনেকেই বাংলাদেশে আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের নিজের রাজ্যে ফেরাতে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল। অবশেষে ১৬৯ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতায় নামল এই বিশেষ বিমান। সূত্রের খবর,এ রাজ্যে আটকে পড়া ৩৩ জন বাংলাদেশিকে ওই বিমানেই সকালে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- কৃষ্ণাঙ্গেরা যে অসাম্যেই, দেখাল করোনা: ওবামা
ঢাকা থেকে বিমানে ওঠার পর এক দফা শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে যাত্রীদের। এখানে পৌঁছনোর পরও, আরেক দফা শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। লক ডাউনের পর যাত্রীদের নিয়ে এই প্রথম কোনও বিমান কলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়ে ছুঁল। আগে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরে। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতে আগে থেকেই বিমানবন্দরের বাইরে বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। আরও অনেক এ রাজ্যের বাসিন্দারা আটকে রয়েছেন। তাদেরও একে একে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানা গিয়েছে।