ছবি: সংগৃহীত।
বাবা-মায়ের গায়ে হলুদের উপরে কালো ডোরা। কিন্তু ছোট্ট মেয়েটা ধপধপে সাদা। আদর করে তার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘নিয়েভে’। স্প্যানিশ ভাষায় ‘নিয়েভে’ মানে তুষার। এ দিকে মেয়ের মায়ের মুখ ভার। সে ফিরেও দেখে না মেয়ের দিকে। অগত্যা এদুয়ার্দো সাকাসা এবং তাঁর স্ত্রী মারিনা আরগুয়েল্লোই তাকে পালছেন।
এদুয়ার্দো নিকারাগুয়ার মাসায়া-র একটি চিড়িয়াখানার অধিকর্তা। তিনি আর মারিনা মিলে সেখানে প্রায় ৭০০ জীবজন্তুর দেখভাল করেন। ও দেশে এই প্রথম কোনও সাদা ব্যাঘ্রশাবক জন্মাল। বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘বেঙ্গল টাইগার’-এর রং সাদায় কালো ডোরা হয় জিনগত সমস্যার জন্যই। জঙ্গলে সাদা বাঘ তাই সাধারণত দেখা যায় না। মূলত সার্কাস, চিড়িয়াখানা বা সংরক্ষণ কেন্দ্রে তাদের দেখা মেলে।
নিকারাগুয়ার সাদা মেয়ের বয়স মোটে এক হপ্তা। জন্মানোর সময় ওজন ছিল এক কিলোগ্রামেরও কম। মনে করা হচ্ছে, এই বিশেষ জিনটি সে পেয়েছে তার মায়ের থেকে। মায়ের বয়স পাঁচ। তার দাদু ছিল সাদা। মা নিজে এক সময় সার্কাসে খেলা দেখাত। সেখানে তাকে বিদায় দেওয়া হলে সে চিড়িয়াখানায় আশ্রয় পায়। প্রেমিকও জোটে। কিন্তু হলে হবে কী, সাদা-কালো মেয়েকে সে কাছে নেয়নি। খাওয়ানোর মতো দুধও তার হয়নি। একরত্তি তুষার-কণা তাই এখন মানুষ বাবা-মায়ের কাছে থাকে। ভালই আছে নিয়েভে। সাদা তোয়ালের বিছানায় ঘুমোয়। বোতল থেকে দুধ খায়। খাওয়ার সময় মারিনা ওর কানে কানে গল্প বলেন। তিন ঘণ্টা অন্তর খিদে পায় মেয়ের। বোতল দিতে দেরি হলে, দুধ বেশি ঠান্ডা মনে হলে চিল চিৎকার জোড়ে।