বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকেই কার্যকর হতে চলেছে পেট্রোলের নতুন দাম। ফাইল চিত্র।
মূল্যবৃদ্ধির হাহাকারের মধ্যেই দেশবাসীকে জোড়া সাঁড়াশির চাপ দিল পাকিস্তান। প্রথমে একটি নতুন ‘মিনি বাজেট’ এনে করের বোঝা চাপানো হল আমজনতার উপর। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি করা হল পেট্রোল-সহ অন্যান্য জ্বালানির দাম। প্রায় দেউলিয়া হওয়া পাকিস্তান জানিয়েছে, ঋণদাতা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের চাহিদা মেটাতেই এই পদক্ষেপ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকেই কার্যকর হতে চলেছে পেট্রলের নতুন দাম। নতুন নির্দেশানুসারে পাকিস্তানে পেট্রল বিক্রি হবে লিটারে ২৭২ টাকায়। এক ধাক্কায় প্রতি লিটারে ২২ টাকা ২০ পয়সা দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে পেট্রলের। এ ছাড়া ডিজেলের দাম ১৭ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে হয়েছে লিটার প্রতি ২৮০ টাকা। কেরোসিনের দামও ১২ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে হয়েছে প্রতি লিটারে ২০২.৭৩ টাকা। হালকা ডিজেলের দামও বেড়েছে ৯ টাকা ৬৮ পয়সা। আপাতত এই ডিজেল বিক্রি হবে ১৯৬.৬৮ টাকা প্রতি লিটারে।
পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য করার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। তার মধ্যে অন্যতম শর্ত ছিল পেট্রলের দাম বৃদ্ধি। অন্য দিকে, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে আইএমএফ পাকিস্তানকে যে খড়কুটোর সন্ধান দিয়েছে, তার নাগাল পেতে আগামী চার মাসে ১৭ হাজার কোটি পাকিস্তানি টাকার অতিরিক্ত রাজস্বও দেখাতে হবে। এই শর্ত পূরণের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই দেশে নতুন মিনি বাজেট পেশ করেছে পাকিস্তান। যার জেরে করের বিপুল বোঝা চাপতে চলেছে পাকিস্তানের আমজনতার উপর। বুধবারের সেই মিনি বাজেটের পরেই বৃহস্পতিবার জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে পাকিস্তানে। যার জোড়া প্রভাব পাকিস্তানের মূল্যবৃদ্ধির উপর পড়তে চলেছে বলে ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
ইতিমধ্যেই দেশে খাবার-সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম সাধারণের নাগালের বাইরে গিয়েছে। এর উপর করের বোঝা এবং জ্বালানির দাম বাড়লে আগামী চার মাসে পাকিস্তানের ভবিষ্যতের সত্যিই সুরাহা হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।