—প্রতীকী চিত্র।
গাজ়ায় প্যালেস্টাইনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের ডেরায় বন্দি এখনও অন্তত ১৩০ জন ইজ়রায়েলি। এর মধ্যে এমন বেশ কয়েক জন মহিলা রয়েছেন, যাঁরা ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। যাঁরা ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছেন, তাঁরাই জানিয়েছেন এ কথা। বন্দি-মুক্তি নিয়ে এমনিতেই চাপে রয়েছে ইজ়রায়েলের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার। ওই সব অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের মুক্তি নিয়ে আরও চাপ বাড়ছে।
৫০ দিন হামাসের ডেরায় বন্দি থাকার পরে মুক্তি পাওয়া চেন আলমগ-গোল্ডস্টেন জানিয়েছেন, বন্দিদশায় তিনি দেখেছিলেন, অল্পবয়সি মেয়েদের মধ্যে অনেকেরই ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রার্থনা করি, ধর্ষণের জন্য ওরা যেন অন্তঃসত্ত্বা না পড়ে।’’ কিন্তু সেই আশঙ্কাই বেশি। ইজ়রায়েল প্রশাসনের চিন্তা, ওই মহিলাদের যদি সময়মতো মুক্ত করা না যায়, তা হলে গর্ভপাত করানো সম্ভব হবে না। শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই বন্দি-বিনিময়ে জোর দেবে ইজ়রায়েল।
এমনিতে ইজ়রায়েলে গর্ভপাত করাতে হলে নির্দিষ্ট সরকারি কমিটির অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে লাল ফিতের ফাঁস এড়িয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে। ওই মহিলারা ধর্ষণের জেরে গর্ভে আসা সন্তানকে জন্ম দেবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিতে পারবেন। কিন্তু তার আগে তাঁদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে হবে। একটি আমেরিকান দৈনিকের রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে বিষয়টি।