ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার চাঁদ দেখার পরে শুক্রবার সৌদি আরবে শুরু হয়েছে রমজানের রোজা। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান-সহ অধিকাংশ দেশে রমজান পালিত হবে শনিবার খেকে। কিন্তু এ বার করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউন ও দূরত্ব বিধি মানার বাধ্যবাধকতায় এক নতুন আবহে দেশে দেশে পালিত হবে রমজান। মুসলিম প্রধান দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধান থেকে ধর্মগুরু, সবারই নির্দেশ— জমায়েত এড়িয়ে মানুষ এ বার রোজা পালন করুন নিজের বাড়িতে।
ভোর রাতে নমাজের পরে সেহরি বা সমবেত খাদ্যগ্রহণের পরে দিনভর উপবাসে থাকেন মুসলিমদের অধিকাংশ। সন্ধ্যায় নমাজের পরে ফের সমবেত ইফতারে উপবাস ভঙ্গ। অন্য বার এই সময়ে লাখো তীর্থযাত্রী হজ করতে জড়ো হন মক্কা-মদিনায়। এ বার দুই মসজিদই বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে হয়েছে সৌদিরাজকে। এ কাজ করতে যে মর্মযন্ত্রণায় কাতর হতে হয়েছে তাঁকে, জানিয়েছেন রাজা ফয়সল।
ইরানে ধর্মগুরু আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের সাফ নির্দেশ— “রোজা পালন করুন, নমাজ পড়ুন। তবে সবই চৌহদ্দির মধ্যে।” আরব আমিরশাহি, মিশর, কাতারেও জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা। তবে রাতের দিকে লকডাউন শিথিল হচ্ছে। খোলা থাকবে খাবারের দোকান, বিপণিনিবিতান। তবে ভিড় জমানো বারণ। পাকিস্তানে ইমরান খানের সরকার ঝুঁকি সত্ত্বেও মসজিদে নমাজ পড়ায় নিষেধাজ্ঞা আনেনি। শর্ত— দুই নমাজিকে ছয় ফুটের ব্যবধান রাখতে হবে, আর যা পেতে নমাজ পড়া হয়, সেই জায়নমাজ নিজেকে কেচে-ধুয়ে নিয়ে আসতে হবে। এক পাক সাংবাদিক অবশ্য মনে করেন, “ইমরান ভালই জানেন তিনি নিষেধাজ্ঞা দিলেও কেউ পরোয়া করত না। আর সরকারি শর্ত না-মানাটাই পাকিস্তানিদের দস্তুর।” বাংলাদেশে এ বার বাড়িতে থেকে রমজান পালনের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সায় দিয়েছেন মৌলানারাও।
আরও পড়ুন: ‘জীবাণুনাশক ইঞ্জেকশন নিন’, ফের বেফাঁস ডোনাল্ড ট্রাম্প
লকডাউন আর নতুন কি ধুলিধূসর গাজার মা আমেনা বিবির কাছে? দুই সন্তানকে দু’হাতে আগলে নীল চোখে চেয়ে থাকেন আরও নীল আকাশের দিকে। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব থেকে ফি বছর ধনী মানুষেরা রমজানে জাকাত (দান সামগ্রী) পাঠাতেন প্যালেস্তাইনের জন্য। তাতেই সারা বছর রুটি গুজরান হত হাজার হাজার আমেনা মায়ের। সে সব দেশ এ বার করোনার কবলে। জাকাত দুরাশা, বুঝেছেন তাঁরা। আমেনার প্রশ্ন— ‘‘বাঁচবে কী ভাবে আমার দুই সন্তান?’’