ইমরান খানের শাস্তির প্রতিবাদ পিটিআই সমর্থকদের। করাচিতে। ছবি রয়টার্স।
তোষাখানা মামলায় ইমরান খানের উপরে নিষেধাজ্ঞার জেরে বিক্ষোভে নামলেন তাঁর দলের কর্মী-সমর্থকেরা। পাকিস্তানের সব বড় শহরে বিক্ষোভে নেমেছেন তাঁরা।
তোষাখানা মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া মূল্যবান উপহার বিক্রি করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ বছর ইমরানকে সব সরকারি পদ থেকে নিষিদ্ধ করেছে পাক নির্বাচন কমিশন। ফলেপাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যপদও হারিয়েছেন তিনি।
আজ এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইকবাল শহরের কাছে ইসলামাবাদ এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের কর্মীরা। অবস্থা সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ফৈজ়াবাদে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ইসলামাবাদে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের দফতরের বাইরেও গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গোটা দেশ জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইমরানের দল।
অগস্টে ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শাসক জোটের আইনসভা সদস্যেরা। তাঁরা জানান, বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রি করে পাওয়া অর্থের কথা প্রকাশ করেননি ইমরান। সেপ্টেম্বরে এই বিষয়ে নির্দেশ স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন। আজ কমিশনের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে রায় দেয়, ইমরান দুর্নীতিতে যুক্ত। তাঁর পার্লামেন্টের সদস্য পদ খারিজ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় নির্বাচন কমিশন।
তার পরেই ইমরানের দলের তরফে জানানো হয়, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাবে তারা। নির্বাচন কমিশনে শুনানিতে ইমরানের আইনজীবী আলি জাফর জানান, তাঁর মক্কেল বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া চারটি উপহার বিক্রি করেছেন ঠিকই। কিন্তু সেগুলির রসিদ আয়কর রিটার্নে দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের মতে, সরকারি পদে থাকা ব্যক্তি উপহার পেলে তা সঙ্গে সঙ্গে জানানো প্রয়োজন। সেগুলির মূ্ল্য নির্ধারণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সেই উপহার নিজের কাছে রাখতে পারেন। কিন্তু তাঁকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা সরকারি তহবিলে জমা দিতে হবে। এই উপহারগুলি সরকারি কোষাগার বা তোষাখানায় রাখা হয় বা নিলাম করে দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইমরান গত মাসে উপহার পাওয়া তিনটি মূল্যবান ঘড়ি এক ঘড়ি বিক্রেতাকে বিক্রি করে দিয়েছেন।