Prince Harry-Meghan Markle

হ্যারিদের রাজআবাস খালি করার নির্দেশ

২০১৮-১৯ সাল নাগাদ প্রায় ২৪ লক্ষ ইউরো খরচ করে ‘ফ্রগমোর কটেজ’ নিজেদের মতো করে সাজিয়ে-গুছিয়ে নেন দম্পতি।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৩ ০৬:৪৫
Share:

প্রিন্স হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মর্কেল। ফাইল চিত্র।

প্রিন্স হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মর্কেলকে ব্রিটিশ রাজবাড়িতে তাঁদের বাসভবন খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। ব্রিটেনের রাজবাড়ি উইনসর প্রাসাদের এলাকাতেই রয়েছে হ্যারি-মেগানের বাসভবন ‘ফ্রগমোর কটেজ’। ১০ শয়নকক্ষ বিশিষ্ট ওই ভবনটি হ্যারি-মেগানের বিয়েতে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ। একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দৌলতে বিষয়টি প্রথম জনসমক্ষে ফাঁস হয়। বুধবার সেই দাবিতে সিলমোহর দিয়েছেন স্বয়ং হ্যারি-মেগান। ক্যালিফর্নিয়া থেকে তাঁদের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিষয়টি সত্যি। সম্প্রতি হ্যারির বিতর্কিত স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’ প্রকাশিত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই চার্লস ওই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

২০১৮-১৯ সাল নাগাদ প্রায় ২৪ লক্ষ ইউরো খরচ করে ‘ফ্রগমোর কটেজ’ নিজেদের মতো করে সাজিয়ে-গুছিয়ে নেন দম্পতি। সাধারণ করদাতাদের অর্থে ওই বিপুল খরচ করার জন্য সে সময় দেশবাসীর উষ্মার মুখেও পড়েছিল রাজপরিবার। পরে অবশ্য পুরো অর্থই মিটিয়ে দেন হ্যারি। তবে রাজপরিবারের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ২০২০ সালে হ্যারিরা ব্রিটেন ছাড়েন। সেই থেকে ব্রিটেনের ওই বাসভবন খালি পড়ে রয়েছে। বর্তমানে দুই সন্তান আর্চি ও লিলিবেটকে নিয়ে ক্যালিফর্নিয়ার বাসিন্দা তাঁরা। যদিও দেশে এলে ফ্রগমোরেই এত দিন উঠতেন হ্যারিরা। গত বছর ফ্রগমোরে মেয়ে লিলিবেটের প্রথম জন্মদিনও পালন করেন দম্পতি।

এ দিকে জানা গিয়েছে, ভাই অ্যান্ড্রুকে ৩১ কক্ষ বিশিষ্ট বিলাসবহুল প্রাসাদ ছেড়ে ফ্রগমোর কটেজে আসতে বলা হয়েছে। রাজা হওয়ার পর থেকে রাজবাড়ির পরিসর ছোট করে আনতে চাইছেন চার্লস। তার জন্যেই কি অ্যান্ড্রুকে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে? অন্য দিকে সূত্রের খবর, হ্যারি-মেগানকে ফ্রগমোর খালি করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তাঁদের জন্য অন্য কোনও বাসভবন বরাদ্দ করা হয়নি। ফলে জল্পনা ছড়াচ্ছে, ছোট ছেলে ও বৌমার সঙ্গে সম্পর্ক পুরোপুরি ছেদের দিকেই হয়তো এগোচ্ছেন চার্লস।

Advertisement

সদ্য প্রকাশিত স্মৃতিকথায় হ্যারি বলেছেন, জন্ম থেকেই তাঁর প্রতি বিরূপ আচরণ করতেন চার্লস। তাঁকে ‘স্পেয়ার’ বা অতিরিক্ত বলে ধরে নেওয়া হত। স্মৃতিকথায় রাজবাড়ি সম্পর্কে নানা তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন হ্যারি। রাজবাড়ি সূত্রের দাবি, বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন চার্লস। বাড়ি খালি করার নির্দেশের পরে মনে করা হচ্ছে, ৬ মে নিজের রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে হ্যারি-মেগানের উপস্থিতি যে একেবারেই কাম্য নয়, সে কথা বুঝিয়ে দিলেন চার্লস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement