ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: রয়টার্স।
জ্বালানি সরবরাহের উপর কোনও আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধে ভারতের সায় নেই। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ বৈঠকে বক্তৃতায় স্পষ্ট ভাষায় এ কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘জ্বালানি চাহিদা মেটানোর অধিকার রয়েছে প্রতিটি দেশেরই। জ্বালানি নিরাপত্তা এবং ভারসাম্যের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শক্তি সরবরাহে কোনও বিধিনিষেধ ভারত সমর্থন করবে না।’’
ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার চাপের মোকাবিলা করেই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া মস্কো থেকে অশোধিত তেল কিনছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের সমালোচনার শিকারও হতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের উপস্থিতিতে মোদীর মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা অতিমারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব জুড়ে সরবরাহ ব্যবস্থা গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গরিব মানুষের সঙ্কট বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও অবস্থাতেই সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো কাম্য নয়।’’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে আন্তর্জাতিক সক্রিয়তা প্রয়োজন বলে জানান মোদী। বলেন, ‘‘ভারত বরবরাই বলে এসেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন আলোচনার টেবিলে বসে যুদ্ধে ইতি টানবে, সেটাই কাম্য।’’
জি-২০ মঞ্চ থেকে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের প্রসঙ্গও তুলেছেন মোদী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি এখন নেই জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের পুনর্গঠনের দাবি তোলেন তিনি। জানান, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ নিয়ে ভারতের দাবি বিবেচনার সময় এসেছে বলে তিনি মনে করেন।