সিডনির অপেরা হাউসের গায়ে ফুটে উঠেছে পাশে থাকার বার্তা। শনিবার দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের কথা ভেবে এই উদ্যোগ। রয়টার্স
গত কয়েক মাস ধরে দাবানলের আগুনে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়ার বিরাট অংশ। তার মধ্যেই আতঙ্ক বাড়িয়ে এ বার দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় দু’টি জঙ্গলের আগুন যুক্ত হয়ে ভয়াবহ চেহারা নিল।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কাল রাতে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আজ ভোর থেকেই প্রবল হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুতে ভর করে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়ায় ব্যাপক আকার নেয় পরিস্থিতি। ভিক্টোরিয়ার এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট কমিশনার অ্যান্ড্রু ক্রিস্ট জানিয়েছেন, শনিবার ভোর থেকেই ধ্বংসাত্মক চেহারা নিয়েছে দাবানল। নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রামীণ দমকল পরিষেবা কমিশনার শেন ফিটজ়সিমনস জানিয়েছেন, রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রশাসনের কর্তারা কিছুটা স্বস্তিতে ছিলেন। কিন্তু ভোর থেকেই বদলে যায় পরিস্থিতি।
শুক্রবারই সম্ভাব্য দাবানল কবলিত অঞ্চল চিহ্নিত করে বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়ার অনুরোধ করা হয় প্রশাসনের তরফে। তবে অনেকেই সতর্কতা না মেনে ভিটেমাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন। তেমনই এক জন নিউ সাউথ ওয়েলসের দক্ষিণে তুম্বারুম্বার এক ব্যক্তি। বাড়ি বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে বিমানে সিডনির হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগুন নেভাতে আমেরিকা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে দেখুন কী ব্যবহার পেলেন দমকলকর্মীরা
এ দিন ভিক্টোরিয়ার সীমানা অঞ্চলে তুম্বারুম্বার কাছে ‘স্নোয়ি মাউন্টেন’-এ দু’টি পৃথক জঙ্গলের আগুন যুক্ত হয়ে ছ’লক্ষ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের আশঙ্কা, আগামী এক সপ্তাহে পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ ধোঁয়ায় ঢেকেছিল নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রামীণ এলাকা বারগেট। অগ্নিনির্বাপক দল ও অস্ট্রেলিয়া সেনার একটি যৌথ দল পরিস্থিতি মোকাবিলা নেমেছিল সেখানে।
এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৬ জনের। ভস্মীভূত দু’হাজারেরও বেশি বাড়ি। দাবানল রুখতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশ জুড়ে সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।