ইউরোপ জুড়ে প্রবল ঝড়ের দাপট, মৃত ৯

কালকের ওই তীব্র ঝড়ের কবলে পড়েছিল জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম— এই তিনটি দেশের বিস্তীর্ণ অংশ। ওই দুর্যোগের বলি হয়েছেন ৯ জন। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের হাজার হাজার পরিবার এখন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বার্লিন শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:০৭
Share:

তাণ্ডব: ঝড়ে ভেঙে পড়েছে গাছ। জার্মানির লাইপজিগে। ছবি: এএফপি।

রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ধ্বংসস্তূপ— আজ সকালে ঘুম ভেঙে উঠে এই দৃশ্যই দেখেছিলেন ইউরোপের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ।

Advertisement

কালকের ওই তীব্র ঝড়ের কবলে পড়েছিল জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম— এই তিনটি দেশের বিস্তীর্ণ অংশ। ওই দুর্যোগের বলি হয়েছেন ৯ জন। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের হাজার হাজার পরিবার এখন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, হারিকেনের মতোই শক্তিশালী ছিল এই ঝড়। যার গতিবেগ ছিল, প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৪০ কিলোমিটার। এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রেদেরিক। আপাতত সেটি পোল্যান্ডের দিকে চলে গিয়েছে। জার্মান হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ২০০৭ সালের পরে এই প্রথম এত ভয়াবহ ঝড় দেখল জার্মানি।

Advertisement

ওই ঝড়ের দাপটে প্রায় তছনছ হয়ে গিয়েছে ওই তিনটি দেশের বিস্তীর্ণ অংশ। কোথাও কোথাও উপড়ে গিয়েছে গাছপালা, কোথাও বা উড়ে গিয়েছে বাড়ির চাল। উল্টে গিয়েছে ট্রাক-গাড়িও। এর জেরে বন্ধ রাখা হয়েছিল রেল ও বিমান পরিষেবাও। পরে অবশ্য জার্মানিতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে রেল চলাচল। মিউনিখ, বার্লিন, ডুসেলডর্ফ, হামবুর্গ ও কোলোনের বেশ কিছু উড়ানও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। নেদারল্যান্ডসও কিছু উড়ান বাতিল করেছে। এই ঝড়ের জন্য ব্যাভেরিয়ান আল্পসে স্কি প্রতিযোগিতাও বাতিল করতে হয়েছে। ঝড়ে গাছপালা উপড়ে গিয়ে বন্ধ পথঘাটও। তার জেরে ওই দুর্যোগে রাস্তাতেই জন্মাল শিশু। জার্মানির কোলোনের ঘটনা। এক মহিলার প্রসববেদনা ওঠায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় গাড়ির মধ্যেই প্রসব হয়ে যায় তাঁর।

জার্মান পুলিশ জানিয়েছে, ঝড়ে মৃত্যু হয়েছে জরুরিকালীন পরিষেবার দুই কর্মীর। কাজের সময়ই প্রবল ঝড়ের কবলে পড়েন তাঁরা। এ ছা়ড়াও মৃতদের ওই তালিকায় রয়েছেন দুই ট্রাকচালকও। ঝড়ের বেগ এতটাই ছিল যে, ঝড়ে তাঁদের ট্রাক দূরে উড়িয়ে নিয়ে ফেলেছে। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। এক ব্যক্তি গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ঝড়ের দাপটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা একটি ট্রাকে গিয়ে ধাক্কা মারেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। গাছ চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন এক প্রৌঢ়। সব মিলিয়ে জার্মানিতে মৃতের সংখ্যা ৬।

আবার নেদারল্যান্ডসে ঝড়ে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। ওলস্টে এক প্রৌঢ় লরিচালক রাস্তা থেকে ধ্বংসস্তূপ সরাতে লরি থেকে নেমেছিলেন। গাছ চাপা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এনশেডে গাড়ির উপর গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে আর এক প্রৌঢ়ের। সেই সঙ্গে একই ভাবে মৃত্যু হয়েছে আর এক বৃদ্ধের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement