পোপ ফ্রান্সিস। — ফাইল চিত্র।
পূর্বসূরিদের থেকে অনেক ক্ষেত্রেই তিনি আধুনিক। যৌনতা নিয়েও স্পষ্টই নিজের মত জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। এ বার পর্নোগ্রাফির খারাপ দিকগুলি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানালেন, যৌনসুখ আসলে ‘ঈশ্বরের উপহার’। ‘যৌন সংসর্গ আগলে রাখার মতোই বিষয়’ বলেও মন্তব্য করেছেন। যদিও তাঁর হুঁশিয়ারি, পর্নগ্রাফি একে হেয় করে।
বুধবার নিজেদের অনুগামীদের এই পর্নোগ্রাফির খারাপ দিকগুলি নিয়ে বলার সময় বার বার সাবধান করেছেন পোপ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভালবাসার হয়ে মুখ খুলতেই পারি। কিন্তু লালসার বিরুদ্ধে যুদ্ধজয় সারা জীবন ধরে চেষ্টা করতে হয়।’’ তিনি এ-ও জানান, পর্নোগ্রাফির কারণে আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। মানুষের চরিত্রে দেখা দিতে পারে ‘ভয়ঙ্কর দোষ’।
এই আসক্তির ফল যে কতটা মারাত্মক, তা-ও জানিয়েছেন পোপ। তাঁর কথায়, ‘‘আসক্তি থেকেই মানুষ লুটপাট চালায়, ডাকাতি করে, আসক্তি অন্যের কথা শুনতে চায় না। শুধু নিজের প্রয়োজন, সুখের কথা বলে। কোনও যুক্তি মানতে চায় না।’’
পর্নোগ্রাফির খারাপ দিক নিয়ে এর আগেও মুখ খুলেছিলেন রোমান ক্যাথলিক গির্জার প্রধান পোপ ফ্রান্সিস। ২০২২ সালের অক্টোবরে তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, পর্নোগ্রাফি ‘যাজকদের হৃদয়কেও দুর্বল’ করে তোলে। তিনি মেনে নিয়েছিলেন যে, অনেক যাজক এবং সন্ন্যাসিনীই পর্ন দেখেন। তাঁদের ফোন থেকে পর্নোগ্রাফির ভিডিয়ো ডিলিট করারও পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে তিনি এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে, শিশুদের হেনস্থা দেখানো হয় যে সব পর্নোগ্রাফিতে, সেগুলির কথা তিনি বলছেন না। সেগুলি ‘অধঃপতন’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
যৌনতা নিয়ে বরাবরই খোলাখুলি কথা বলেছেন পোপ ফ্রান্সিস। গত বছর সমকামী দম্পতিদের বিয়ের পর আশীর্বাদ করার জন্য যাজকদের অনুমতি দিয়েছিলেন তিনি। তবে গির্জার রীতি পালন করা যাবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই নিয়ে অনেক যাজকই পোপের সমালোচনা করেছিলেন। তারও জবাব দিয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের এপ্রিলেও একটি তথ্যচিত্রের মুক্তি অনুষ্ঠানে পোপ জানিয়েছিলেন, যৌনতা হল ‘‘অন্যতম সুন্দর জিনিস, যা ঈশ্বর মানুষকে দিয়েছেন।’’