বিএনপি-র সমাবেশ। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি'র ডাকা জনসভা থেকে শনিবার হিংসা ছড়াল ঢাকায়। বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন এক
পুলিশ কর্মী।
প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। পরে শাসক আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সঙ্গেও বিএনপি কর্মীদের প্রবল মারপিট বেধে যায়। হিংসা ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে। কাকরাইলে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন লাগানো হয়। রাজারবাগ থানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুল্যান্স-সহ পুলিশের ১৬টি গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। বিএনপি নেতৃত্ব পরে অভিযোগ করেন, তাঁদের জনসভা ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করার ফলেই সংঘর্ষের সূচনা। বিএনপির অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের কর্মীদের উপর নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। পুলিশ ও সরকারের এই আচরণের প্রতিবাদে রবিবার বাংলাদেশ জুড়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতালের ডাক
দিয়েছে বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য দাবি করেছেন নির্বাচনের আগে দেশে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করা বিএনপির উদ্দেশ্য। তারা চক্রান্ত করে হিংসা শুরু করেছে। তাদের ডাকা হরতালে মানুষ সাড়া দেবেন না।
আবার এ দিনই পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঢাকায় সভা করেছে বিএনপি'র প্রাক্তন শরিক দল জামাতে ইসলামি। তারা জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ইস্তফা না দিলে জামাতও নির্বাচনে অংশ নেবে না। বাংলাদেশে জানুয়ারির প্রথম দিকে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। বিএনপি প্রথম থেকেই জানিয়ে এসেছে, শেখ হাসিনা ইস্তফা না দিলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। এ বার তাদের প্রাক্তন শরিক জামাতে ইসলামিও একই অবস্থান ঘোষণা করায় বিএনপি এবং জামাতের ঐক্যের সম্ভাবনা প্রবল হল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিরোধী বিএনপি'র হরতালের মোকাবিলায় রাজধানী ঢাকাএবং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রশাসন এবং শাসকআওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শনিবার থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন।
নজর এখন রবিবারের হরতালের উপরে।