Muhammad Yunus

শুধু ইসলামি দল ইউনূসের বৈঠকে, প্রস্তাব দিলেন তাঁরা

বৈঠকে ডাক পায়নি ক্ষমতাচ্যুত শাসক দল আওয়ামী লীগ এবং তাদের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৯
Share:

মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারে ভূরি ভূরি প্রস্তাব দিল ইসলামি দলগুলি। এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি ইসলামি দলের রাজনৈতিক দল হিসাবে মর্যাদা না থাকলেও তাদের বৈঠকে ডেকেছে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দফতর। তবে কালই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক হওয়ায় বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী এ দিনের বৈঠকে আর ডাকা হয়নি। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি এবং আরও কিছু দলকে এ দিন সকালে জানানো হয়েছে, আগের বার তাঁদের সঙ্গে কথা হয়ে যাওয়ায় এ বার আর ডাকা হচ্ছে না। বৈঠকে ডাক পায়নি ক্ষমতাচ্যুত শাসক দল আওয়ামী লীগ এবং তাদের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলও। এ দিন বৈঠকে হাজির ছিলেন হেফাজতে ইসলাম ও অন্য ৬টি ইসলামি দলের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

হেফাজতে ইসলামের নেতা মৌলানা মামুনুল হক বলেন, তাঁরা যে সব প্রস্তাব সরকারকে দিয়েছেন— তার প্রথমেই বলা হয়েছে, এক বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ কাউকে যেন না দেওয়া হয়। নির্বাচন নিয়ে কালবিলম্ব না করার আর্জি জানিয়ে হেফাজত বলেছে, ভোটের জন্য মানুষ অধৈর্য হয়ে পড়ার আগেই যেন তার ব্যবস্থা করা হয়। একই সঙ্গে মামুনুল বলেন, “ইসলাম-বিরোধী, কোরান-সুন্নার বিরোধী কোনও আইন যাতে প্রণয়ন করা না হয়, আমরা সেই প্রস্তাবও দিয়েছি।”

শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের আমলে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে নিয়মিত ভাতা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির জানিয়েছেন, ইউনূসের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা ভালই হয়েছে। অবিলম্বে নির্বাচন করার জন্য তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা কষ্ট পাই, যখন দেখি রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু ওই সমস্ত ভয়ঙ্কর ব্যক্তি যারা আমাদের হত্যা করেছে, খুন করেছে, গুম করেছে, তাদের এক জনকেও গ্রেফতার করা হয়নি।” আগের আমলে পুলিশ, গোয়েন্দা বাহিনী এবং‌ সেনাদের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। বিএনপির অভিযোগ, ১৫ বছরে তাদের ১৪ হাজার নেতা কর্মীকে পুলিশ বা গোয়েন্দারা তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে তাদের অধিকাংশের খোঁজ মেলেনি। রাষ্ট্রপুঞ্জের তদন্ত কমিটিকে দিয়ে এই সব ঘটনার তদন্ত করানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement