প্রতীকী চিত্র
সহকর্মীর সঙ্গে মতান্তর হয়েছিল। বদলা নিতে সেই সহকর্মীরই ক্লাসের ২৫ জন খুদে পড়ুয়ার খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল সে। সেই অপরাধে চিনের জিয়াওজ়ুও শহরের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা, ওয়াং ইউনকে গত কাল মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। ঘটনা গত বছর মার্চের। রোজকার মতো সকালে ওই কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ক্লাস শুরু হওয়ার একটু পরে জলখাবারে পরিজ খেতে দেওয়া হয়েছিল শিশুদের।
খাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে ২৩ জন শিশু বমি করতে শুরু করে। কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে যায়। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। খাবারে মেলে সোডিয়াম নাইট্রাইট। সাধারণত পশুখাদ্য সংরক্ষণে এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হলেও অতিরিক্ত মাত্রায় তা মানুষের শরীরে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। প্রায় দশ মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে মৃত্যু হয় এক শিশুর।
গত বছর মার্চেই ওয়াংকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পুলিশ আদালতকে জানিয়েছিল, শিশুদের দেখভাল নিয়েই অন্য ক্লাসের এক শিক্ষিকার সঙ্গে বচসা হয়েছিল ওয়াংয়ের। ওই শিক্ষিকাকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতেই তাঁর ক্লাসের শিশুদের খাবারে রাসায়নিক মিশিয়ে দেয় ওয়াং। আদালত জানিয়েছে, আগেও ঠিক এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। স্বামীর খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল সে। অনলাইনে কিনেছিল বিষ। তবে ওই ব্যক্তি পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
চিনে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিশুদের উপরে হামল নতুন নয়। এর আগেও একাধিক বার ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে স্কুলে। তবে অভিযুক্ত হিসেবে স্কুলেরই শিক্ষিকার নাম উঠে আসা বিরল। আদালত জানিয়েছে ওয়াং যেটা করেছে, তা ঘৃণ্য অপরাধ। চিনের মানবাধিকার রক্ষাকর্মীরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর অন্তত হাজারখানেক নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সব ঘটনা সব সময়ে প্রকাশ্যে আসে না। অপরাধীকে কখনও বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, কখনও বা ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানো হয়।