প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানের সূচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন ঢাকা সফরে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে শীর্ষ পর্যায়ে। পাঁচ বছর পর ঢাকার মাটিতে পা রাখতে চলেছেন মোদী। তাঁর আগের সফরে দু’দেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি হয়েছিল। এ বারের সফরে এই মাপের কোনও চুক্তি হবে না ঠিকই, বরং সিএএ-এনআরসি এবং সাম্প্রতিক দিল্লি হিংসার জেরে সম্পর্কে যথেষ্ট মেঘ জমে রয়েছে। কিন্তু সেই মেঘ কাটিয়ে মোদীর বাংলাদেশ সফরকে সফল হিসেবে তুলে ধরতে সক্রিয় সাউথ ব্লক। এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনও ঘোষণা করতে পারেন মোদী। তিস্তাকে বাদ রেখে অন্য কয়েকটি নদীর জলের ভাগাভাগি নিয়ে সমঝোতা হতে পারে বলে সম্প্রতি ঢাকা সফরে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আসন্ন সফরের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হতে চলেছে দু’দেশের মধ্যে আঞ্চলিক সংযোগের নতুন দিক খোঁজা। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে নদীপথে যাতায়াত বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু প্রকল্প ঘোষণা হতে পারে। বাংলাদেশের বন্দরগুলিকে ব্যবহার করে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে এলপিজি গ্যাস পাঠানোর নতুন উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা হবে মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।