ফাইল চিত্র।
আগামী ২৮ তারিখ এক দিনের জন্য আবু ধাবি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পয়গম্বর-বিতর্কের পরে এই প্রথম কোনও মুসলিম দেশে যাচ্ছেন তিনি। সাউথ ব্লকের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ওই বিতর্কজনিত কোনও মালিন্য স্পর্শ করবে না।
আজ এই প্রসঙ্গে বিদেশসচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, “পয়গম্বর-বিতর্ক নিয়ে ভারতের অবস্থান এবং পরিস্থিতি প্রত্যেকটি দেশ স্পষ্ট ভাবে জানে। বিভিন্ন মঞ্চে তা বিশদে জানানোও হয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর সফরে এর কোনও ছায়া পড়বে না।” বিদেশসচিব অবশ্য এ-ও বলেছেন যে, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হবে। তার পূর্বাভাস দেওয়া এখনই সম্ভব নয়। ভারত এবং আবু ধাবির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী। বিভিন্ন কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক আদানপ্রদান রয়েছে। শক্তি ক্ষেত্রেও দু’দেশের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। সব নিয়েই আলোচনা হবে।
আবু ধাবি যাওয়ার আগে মোদী ২৬ এবং ২৭ তারিখে জার্মানি যাচ্ছেন জি-৭ সম্মেলনে আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে। সূত্রের খবর, সেখানে তাঁর দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠক হবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে। এই দেশগুলি ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করেছে। জি-৭-এর যে সম্মেলনগুলিতে মোদী থাকবেন, সেখানে পরিবেশ, লিঙ্গসাম্য, শক্তি, খাদ্য নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলি উঠবে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের পরে অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে।
স্বাভাবিক ভাবেই, পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ভারতের উপরে চাপ আসবে। কোয়াত্রা যদিও বলেছেন, “অশোধিত তেল আমদানির প্রশ্নে ভারতের একটাই মাপকাঠি। তা হল, শক্তিক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং জাতীয় অর্থনৈতিক স্বার্থ। গোটা বিশ্ব এ কথা জানে এবং মানে।” ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে কোয়াত্রার বক্তব্য, “ভারত বিভিন্ন মঞ্চে, প্রকাশ্য সম্মেলনে বার বার বলেছে, কূটনৈতিক আলোচনা এবং সংলাপের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব।”