ভ্লাদিমির পুতিন (বাঁ দিকে) এবং নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হওয়া ভ্লাদিমির পুতিনকে এক্স (সাবেক টুইটার) মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন আগেই। এ বার বন্ধু রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানকে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুনরায় মস্কোর মসনদে বসার জন্য পুতিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী। একই সঙ্গে রাশিয়ার মানুষের শান্তি এবং উন্নতির জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি।
পুতিনের সঙ্গে তাঁর কোন কোন বিষয়ে কথা হয়েছে এক্স মাধ্যমে তার উল্লেখ করেছেন মোদী। লিখেছেন, “আগামী দিনে ভারত-রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও প্রশস্ত করার বিষয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আমেরিকা-সহ ইউরোপের অধিকাংশ দেশ যখন রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ রেখেছে, তখনও ‘জাতীয় স্বার্থ’কে অগ্রাধিকার দিয়ে মস্কোর কাছ থেকে অশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে নয়াদিল্লি।
পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের পরে রাশিয়ার থেকে অশোধিত তেল কেনা বন্ধ করার জন্য ভারতকে লাগাতার চাপ দিচ্ছে পশ্চিমি দুনিয়া। কিন্তু সে চাপে এখনও নতিস্বীকার করেনি দিল্লি। আবার ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেই মোদী পুতিনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।” মনে করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ভারসাম্যের কূটনীতিই বজায় রাখল ভারত। ভারতের আর এক মিত্র দেশ আমেরিকা যখন পুতিনের নির্বাচনে জয়ী হওয়াকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে আক্রমণ করছে, তখন রুশ প্রেসিডেন্টকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানালেন মোদী।
৮৭.৮ শতাংশ ভোট পেয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের জয়ী হয়েছেন পুতিন। নিকটতম বাম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন মাত্র ৪ শতাংশ ভোট। পুতিনের জয় নিয়ে অবশ্য তাঁর অতি বড় বিরোধীরও কোনও সংশয় ছিল না। প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ পূরণ করতে পারলে রাশিয়ার ২০০ বছরের ইতিহাসে দীর্ঘমেয়াদি শাসক হিসাবেও পয়লা নম্বরে থাকবেন পুতিন। ভাঙবেন জোসেফ স্ট্যালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভের টানা ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার নজির। জয় স্পষ্ট হতেই রবিবার ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি দেন পুতিন। তিনি বলেন, “কেউ চান না, তবু আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটো-র সঙ্গে রাশিয়ার দ্বন্দ্ব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধও ডেকে আনতে পারে।”