বন্ধুত্ব অটুট মোদী-মাকরঁর।
সোমবারই ‘বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। তার পরের দিন, মঙ্গলবারই ‘বন্ধু’কে ফোন করে কুশল বিনিময় করলেন নরেন্দ্র মোদী। খরা এবং দাবানলে বিপাকে পড়া ফ্রান্সের পাশে থাকার বার্তাও দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কা সঙ্কট নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী টুইট করে জানান, ভারত এবং ফ্রান্সের কৌশলগত বোঝাপড়ার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও নিবিড় করার জন্য তাঁদের দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয় নিয়েও তাঁরা বার্তালাপ করেছেন বলে জানিয়েছেন মোদী।
একটি সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, রুশ-ইউক্রেন সংঘাত থামানোর বিষয়ে দুই দেশই একত্রে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। শ্রীলঙ্কার চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং রাজনৈতিক দুরবস্থা নিয়েও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের একাধিপত্যের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী দেশকে ভারতের প্রয়োজন। দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে মাকরঁর একটি টুইটেও। ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের ৭৫ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে দুই দেশের সুসম্পর্কের ঐতিহ্যকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।