খুদেকে নিয়ে বেরিয়ে আসছেন নিকোলাস। ছবি: টুইটার।
পিৎজা পৌঁছে দিয়ে গিয়ে পাঁচ জনের জীবন বাঁচালেন ২৫ বছরের এক যুবক। বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে ঘুমন্ত খুদেকে উদ্ধার করতে গিয়ে ঝলসে গেলেন নিজেও। হাসপাতালে ভর্তি যুবকের এই সাহসী কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছে পুলিশও।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আমেরিকার লাফায়েট শহরে পিৎজা পৌঁছে দিতে বেরিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সি নিকোলাস বোস্টিক। হঠাৎ একটি বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে দাঁড়িয়ে যান তিনি। দেখেন, বাড়িতে আগুন জ্বলছে। কিন্তু কারও সাড়াশব্দ নেই।
বাড়ির মধ্যে কেউ ঘুমন্ত অবস্থায় নেই তো? তাঁরা হয়তো জানেনই না যে বাড়িতে আগুন লেগেছে। এই চিন্তা করে ওই বাড়ির দিকে এগিয়ে যান নিকোলাস। তাঁর কাছে ফোন না থাকায় পুলিশকেও খবর দিতে পারেননি। ওই বাড়ির সামনে গিয়ে চিৎকার করে ডাকাডাকি শুরু করেন তিনি। ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙে ১৮ বছর বয়সি এক যুবকের। তাঁর আরও তিন ভাইবোন ঘুমোচ্ছিল। নিকোলাসের ডাকাডাকিতে তাঁরা সবাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু বড় ভাই জানায় তাঁর এক বছরের বোন ঘরে রয়েছে। তত ক্ষণ গোটা বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে। দ্রুত ওই ঘরের দিকে এগিয়ে যান নিকোলাস। আগুন, ধোঁয়া তোয়াক্কা না করে ঘুসি মেরে ওই ঘরের দরজার কাচ ভাঙেন। তার পর খুদেকে জাপটে ধরে দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন তিনি।
তত ক্ষণে খবর ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে এসে পড়ে পুলিশ। আহত অবস্থায় নিকোলাসকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা।
ওই খুদেদের বাবা-মা জানান, তাঁরা বাইরে গিয়েছিলেন। বাড়িতে শুধু ছেলেমেয়েরা ছিল। যুবকের এই দুঃসাহসিক কাজের ঋণ কোনও দিন তাঁরা শোধ করতে পারবেন না বলে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁরা। নিকোলাসের ভূয়সী প্রশংসা করেছে পুলিশও।