তছনছ কাবুলের রেকর্ডিং স্টুডিয়ো
ভেঙেচুরে দেওয়া হয়েছে স্টুডিয়োর প্রকাণ্ড দু’টি গ্র্যান্ড পিয়ানো। কোনও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে নষ্ট করা হয়েছে ড্রাম, তবলা-সহ অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রগুলি। কাবুলের গোটা একটি রেকর্ডিং স্টুডিয়ো জুড়েই চলেছে তাণ্ডব। নেটমাধ্যমে সেই ছবিই তুলে ধরলেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’-এর এক সাংবাদিক জেরোম স্টার্কি।
রবিবার ওই স্টুডিয়োতে ঢুকে হতচকিত হন স্টার্কি। স্টুডিয়োর বাইরে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকা দুই তালিবকে জিজ্ঞেসও করেছিলেন, কারা এই ভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে স্টুডিয়োয়? উত্তরে দুই তালিব-যোদ্ধা জানিয়েছেন, তারাও স্টুডিয়োয় এসে এই দৃশ্যই দেখেছেন। টুইটারে সাংবাদিক লেখেন, ‘আগামী দিনে এই ঘটনা আরও ঘটবে। সত্যিই ভয় করছে।’
আফগানিস্তানের শিল্পী মহলের আশঙ্কা, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের তালিবানি শাসনের প্রথম পর্বের মতো আবার গোটা দেশে প্রায় সব ধরনের সুর শিক্ষাই নিষিদ্ধ হতে চলেছে। ইতিমধ্যে কন্দহরে টিভি এবং রেডিয়ো চ্যানেলে গানবাজনা এবং মহিলা কণ্ঠস্বরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দু’দিন আগেই আফগানিস্তানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মিউজিকে হামলা চালিয়েছে তালিবরা। অগস্টের শেষ সপ্তাহেই আন্দারব উপত্যকার লোকসঙ্গীত শিল্পী ফাওয়াদ আন্দরাবি খুন হয়েছেন। তালিবান বাহিনী কাবুল দখলের পর এমন ঘটনা যে ঘটতে চলেছে, তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, “ইসলামে সঙ্গীত কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। সঙ্গীত থেকে তাই দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে আফগানদের।”