স্থলপথে ফেরানো নিয়ে জট

কেন্দ্র অভিযোগ তুলেছিল, ভিন্ রাজ্য থেকে ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের  ফেরানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা বিলম্ব করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ আমপান-কোভিড, জোড়া সঙ্কটে আক্রান্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২০ ০৪:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

কেন্দ্রের বন্দে ভারত মিশনের অধীনে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে আটকে থাকা দু’হাজারেরও বেশি পশ্চিমবঙ্গবাসী ঘরে ফিরেছেন। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে আজ এই তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২২টি বিমান নেমেছে কলকাতায়। এগুলির মধ্যে ঢাকা থেকে কলকাতাগামী বিমানও রয়েছে। আপাতভাবে এটা বিদেশে আটকদের ফেরানো নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে জটিলতা কাটার বার্তা দিলেও বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে এ দিনও জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পশ্চিমবঙ্গবাসীদের ফেরানোর অনুমতি এখনও পাওয়া যায়নি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।

Advertisement

কেন্দ্র অভিযোগ তুলেছিল, ভিন্ রাজ্য থেকে ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা বিলম্ব করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ আমপান-কোভিড, জোড়া সঙ্কটে আক্রান্ত। ফলে ধীরে ধীরে বাইরে থেকে শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যবস্থা করাটাই কাম্য। কেন্দ্রীয় সূত্রে এই অভিযোগও তোলা হয় যে, বিদেশ থেকে রাজ্যের বাসিন্দাদের ফেরানোর ব্যাপারেও এসওপি দিতে বিলম্ব করছে পশ্চিমবঙ্গ। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তবের মধ্যে টুইট বিনিময়-ও হয়। তার পরে অবশ্য জট কাটতে শুরু করে।

এখনও বাংলাদেশে বসবাসকারী বহু ভারতীয় স্থলপথে দেশে ফিরতে চান। এঁদের মধ্যে রয়েছেন শ্রমিকরাও। রাজনৈতিক সূত্রে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সংক্রমণের হার বাড়ার আশঙ্কাতেই কি পশ্চিমবঙ্গ সরকার সীমান্তবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফেরার বিষয়টি আটকে রেখেছে? বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, বিমানে এ পর্যন্ত কুয়েত, কাতার, আমেরিকা ও বাংলাদেশ থেকে মানুষ কলকাতায় ফিরেছেন। পরের দফায় নাইজেরিয়া, তাইল্যান্ড, আমেরিকা, কাজাখস্তান এবং সিঙ্গাপুর থেকে পশ্চিমবঙ্গবাসীরা ফিরবেন। নেপাল থেকে প্রতিদিন বিপুল মানুষ ফিরছেন স্থলপথে। ভুটান থেকে এখনও ১৫২ জন স্থলপথে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement