সংক্রমিত ব্যক্তিরা এই ধাতব বাক্সে বন্দি। ছবি: টুইটার।
কয়েক সপ্তাহ পরেই শীতকালীন অলিম্পিক্সের আসর বসবে বেজিংয়ে। তার মধ্যে বেশ কিছু শহরে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে চিন সরকারের। সংক্রমণকে নাগালে রাখতে নিভৃতবাস, বিচ্ছিন্নবাস, লকডাউন সব পন্থাই নিয়েছে তারা। এত কিছু করেও সংক্রমণ আয়ত্তে না আসায় নতুন পথ বেছে নিল চিন। কোভিড সংক্রমিত ব্যক্তিদের ধাতব বাক্সে বন্দি করে রাখা শুরু করেছে শি চিনফিং সরকার। নেটমাধ্যমে ইতিমধ্যেই ভাইরাল সেই ভিডিয়ো।
কোভিড সংক্রমণ রুখতে তাদের নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে চিন সরকার। এই ধাতব বাক্সে নিভৃতবাস সেই পরিবর্তনে নতুন সংযোজন। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, কোভিড সংক্রমিত ব্যক্তিদের বা তাঁদের সংস্পর্শে আসা সকলকে ধাতব বাক্সের মতো ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে রয়েছে একটি খাট, জলের বোতল ও একটি শৌচাগার। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মধ্য চিনের শাংচি প্রদেশের জিআন শহরে খোলা হয়েছে এই নিভৃতবাস ক্যাম্প। সেখানে বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক, এমনকি, গর্ভবতী মহিলাদেরও অন্তত দু’সপ্তাহের জন্য জোর করে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে বিতর্কও দানা বেঁধেছে।
বাড়তে থাকা কোভিড সংক্রমণের দরুণ জিআন শহরের প্রায় দু’কোটি বাসিন্দাকে বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছে। খাবার কিনতে বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা। সোমবার সেখানে ১৩ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। মাত্র দু’জন ওমিক্রন সংক্রমিতের সন্ধান পাওয়ার পর চিনের আনিয়াং শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। চিন সংক্রমণ রুখতে এতটাই কড়া অবস্থান নিয়েছে যে, কোনও বহুতলের এক জন বাসিন্দা সংক্রমিত হলেও ওই বহুতলের সকল বাসিন্দাদের নিভৃতবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইউচৌ শহরেও এক সপ্তাহের জন্য কড়া লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি সেখানে মাত্র তিন জন উপসর্গহীন সংক্রমিতের খবর পাওয়া গিয়েছিল।