গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আমেরিকায় প্রতি চার বছর অন্তর এই নভেম্বর মাসে নির্বাচন হয়। এই ভোটে নির্বাচিত হন দেশ, প্রদেশ, স্থানীয় কাউন্টি এবং স্থানীয় স্তরের প্রতিনিধিরা। একে আমরা প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচন বলি। এই দেশে জাতীয় স্তরে দু’টি বড় রাজনৈতিক দল রয়েছে। তাদের মনোনীত প্রার্থীদের এক জন প্রেসিডেন্ট ও এক জন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রদেশে স্থানীয় স্তরে মেয়র, শেরিফ, জেলা অ্যাটর্নিদেরও নির্বাচন করা হবে। নিরাপত্তা হোক বা মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার— ভোটের ফলাফলের উপর নির্ভর করে কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে।
আমি ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা। আমাদের প্রদেশে ভোটারদের সামনেও এমন কিছু কর্মসূচি রয়েছে। যেমন, আগে এখানে নিয়ম ছিল, ৯৫০ ডলারের কম মূল্যের কোনও জিনিস কেউ চুরি করলে তা ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য করা হবে না। কিন্তু তাতে বহু দোকানে চুরি ব্যাপক ভাবে বেড়ে যায়। বহু ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। নতুন প্রস্তাবনায় সেই নিয়ম রদের কথা থাকবে। জেলে বাধ্যতামূলক শ্রমদানের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। জেলে সাজাপ্রাপ্তদের শ্রমদান বাধ্যতামূলক হবে কি না, সে বিষয়ে এই ভোটে রায় দেবেন মানুষ। পাশাপাশি, বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য সংরক্ষিত এলাকা রাস্তা সম্প্রসারণের কাজে ব্যবহার করা যাবে কি না, এটি খুব বিতর্কিত একটি বিষয়। যেমন আমার শহর পালো আল্টো-য় জমি অধিগ্রহণ করা হলে বাসিন্দারা মোটেই খুশি হবেন না। আমাদের জীবনযাপন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্কুলের প্রশাসন থেকে শুরু করে, পঠন পদ্ধতি, শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্ক এই ভোটে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আরও একটা বিষয় রয়েছে। আকাশছোঁয়া বাড়িভাড়া। ভাড়া নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ওভাল অফিসের দায়িত্বে কে আসবেন, সে দিকে নজর সারা বিশ্বের। আমরা কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনে কী পরিবর্তন আসছে, সে দিকেও তাকিয়ে।
(লেখক তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার)