প্রাণভয়ে ক্রমশ মধ্য গাজ়া ভূখণ্ড থেকে সীমান্তের নানা এলাকায় আশ্রয় নিচ্ছেন প্যালেস্টাইনি শরণার্থীরা। —ফাইল চিত্র।
প্রাণভয়ে ক্রমশ মধ্য গাজ়া ভূখণ্ড থেকে সীমান্তের নানা এলাকায় আশ্রয় নিচ্ছেন প্যালেস্টাইনি শরণার্থীরা। কখনও খান ইউনিস, কখনও আবার দক্ষিণ গাজ়া ভূখণ্ডের মিশর সীমান্তবর্তী রাফা শহরের কোনও কবরস্থানে। আর থাকার জন্য ‘নিরাপদ’ বলে ঘোষণা করা সত্ত্বেও বার বার মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে ইজ়রায়েলি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে সেই প্যালেস্টাইনি শরণার্থী শিবিরগুলির উপরেই। নিশ্চিত ভাবে না জানানো হলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাফায় গত কয়েক দিনেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত শতাধিক প্যালেস্টাইনি নাগরিকের। নিহতদের মধ্যে প্রধানত রয়েছেন মহিলা ও শিশু-কিশোরেরা।
হামাস পরিচালিত প্রশাসনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, রাফায় গত সোমবার পরপর বিমান হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলি বাহিনী। সেই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ৫২ জন প্যালেস্টাইনি। ধ্বংস হয়েছিল ১৪টি বাড়ি আর তিনটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। তবে এই প্রথম নয়। আগেও রাফায় বেশ কয়েক বার হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনী। রাষ্ট্রপুঞ্জের আশঙ্কা, ক্রমাগত হামলার জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে শহরটি। আর যে জায়গাটিকে শরণার্থীদের জন্য নিরাপদ জায়গা বলে নিজেরাই ঘোষণা করেছিল ইজ়রায়েল, সেখানেই কার্যত ‘নিঃশব্দে’ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বার বার প্যালেস্টাইনি শিশু ও মহিলাদের হত্যা করা হচ্ছে।