ইস্তানবুল থেকে সুদানের উদ্দেশে সবে উড়ান শুরু করেছিল তুরস্ক এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। কয়েক মিনিটের মধ্যেই অস্থিরবোধ করতে থাকেন এক যাত্রী। চিৎকার করে অক্সিজেন মুখোশের বাক্সটা হাত দিয়ে দুমড়ে মুচড়ে নষ্ট করে ফেলেন। এমনকি কেবিনের জানলাও হাত দিয়ে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন ৩৫ বছরের ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, ককপিটের দিকে দৌড়ে যাওয়ারও চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। ১৫ মিনিটের চেষ্টায় কোনও মতে বিমানকর্মীরা তাঁকে শান্ত করেন। ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল বলে বিমানকর্মীদের জানিয়েছিলেন তিনি।
শুক্রবার ওই বিমানেই ছিলেন হুসেন মাল্লা নামে এক চিত্র-সাংবাদিক। তিনি জানান, ওই বিমানের বহু যাত্রীই ওই ব্যক্তিকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। ওই ব্যক্তি সহযাত্রীদের ক্ষতি করতে পারেন এই আশঙ্কায় ইস্তানবুলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন চালক। এই ঘটনার আড়াই ঘণ্টার মাথায় বিমানচালক ঘোষণা করেন বিমানটিকে ইস্তানবুল ফেরত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঘোষণা শোনার কয়েক মিনিটের মাথায় ফের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে মাথা বিমানের সামনে দিকে হেলিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। বিমানকর্মী ও অন্য যাত্রীরা কোনও মতে প্লাস্টিকের হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করলেও সে সব ভেঙে ফেলেন ব্যক্তি। আতঙ্ক ছড়ায় অন্য যাত্রীদের মধ্যেও।
তিন ঘণ্টার মাথায় ইস্তানবুলে ফেরত আনা হয় বিমানটিকে। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। তবে তাতেও ভ্রূক্ষেপ নেই তাঁর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিমান থেকে নামার পরে অনেকের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা গিয়েছে সুদানের বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে। কাল তুরস্কের ওই উড়ানসংস্থার এক আধিকারিক জানান, আক্রমণাত্মক ব্যবহার, বিমানে ভাঙচুর চালানো ও বাকি যাত্রীদের শারীরিক ও মৌখিক ভাবে ক্ষতি করার অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তবে তাঁর মানসিক অবস্থা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ।