কবরস্থল ঘিরছেন বাবা-মায়েরা। প্রতীকী ছবি(representational image)
কবর থেকে তুলে মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে পাকিস্তানে। ডেলি টাইমস-কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের টুইটে প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল আনন্দবাজার অনলাইনও। কিন্তু অল্টনিউজ-এর ‘ফ্যাক্ট চেক’ (Fact Check)-এ গোটা ঘটনাটিই ভুয়ো (Fake News) বলে ধরা পড়েছে। লজিক্যাল ইন্ডিয়ান-ও ফ্যাক্ট চেক (Fact Check) করে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, সেটির সঙ্গে ‘মৃতদেহ ধর্ষণের’ কোনও সম্পর্ক নেই। ছবিটি ভারতের হায়দরাবাদের।
কবর থেকে মেয়ে, মহিলাদের দেহ তুলে ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল পাকিস্তানে। সন্তানদের মৃতদেহকে ধর্ষকদের হাত থেকে বাঁচাতে তাই কবরস্থলের চারপাশে লোহার খাঁচা তৈরি করে দিচ্ছেন উদ্বিগ্ন বাবা-মায়েরা। ডেইলি টাইমস-এর প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তানে মৃতদেহ ধর্ষণের ঘটনা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে এই ধরনের ঘটনা চলছে। ওই বছরেই প্রথম প্রকাশ্যে আসে মৃতদেহ ধর্ষণের ঘটনা। করাচিতে এক কবরস্থলের নিরাপত্তারক্ষী কবর থেকে মহিলা, কিশোরী, তরুণীদের দেহ তুলে ধর্ষণ করতেন। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর মহম্মদ রিজওয়ান নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় ধৃত জানিয়েছিলেন যে, কবর থেকে ৪৮ জন মহিলার দেহ তুলে ধর্ষণ করেছেন তিনি।
গত বছরের মে মাসে পাকিস্তানের গুজরাতে চক কমলা গ্রামে এক কিশোরীকে কবর থেকে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে যে দিন কিশোরীকে কবর দেওয়া হয়েছিল, সে দিন রাতেই সেই মরদেহ তুলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ২০২১ সালে মৌলভি আশরফ চান্দিয়ো গ্রামে কবর থেকে তুলে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ ওঠে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ছেলের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সালের পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন ঘটনাই ঘটে চলেছে। সম্প্রতি এই ঘটনার সংখ্যা আরও বেড়েছে। তাই ধর্ষকদের হাত থেকে মেয়েদের বাঁচাতে কবরস্থল খাঁচা দিয়ে ঘিরছেন বাবা-মায়েরা।