গাজ়ায় চলছে ইজ়রায়েল-বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। ছবি: রয়টার্স।
গাজ়ার হাসপাতালে হামলার দায় নিয়ে ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে বাগ্যুদ্ধ চলছেই। এ বার তাতে অংশ নিলেন প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষও। বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত প্যালেস্তাইনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর দাবি করেন যে, ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ‘মিথ্যাবাদী’। ইজ়রায়েল যে হামলার দায় এড়াতে মিথ্যা কথা বলছে, তা প্রমাণ করতে একটি মুছে দেওয়া টুইটকে হাতিয়ার করেন মনসুর।
এর আগে নিজের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) নেতানিয়াহু লিখেছিলেন যে, ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-র বিশ্লেষণ বলছে, সন্ত্রাসবাদীদের ছোড়া ক্ষেপনাস্ত্র গাজ়ার আল আহলি হাসপাতালের কাছে উড়ে আসে।” একই সঙ্গে তিনি জানান, বহু সূত্র মারফত তাঁরা খবর পেয়েছেন যে, সন্ত্রাসবাদীদের একটি ব্যর্থ ক্ষেপনাস্ত্র হামলার জন্যই হাসপাতালটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতালে হামলার নেপথ্যে যে হামাস, ইঙ্গিতে তা-ই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। যদিও হামাসের তরফে দাবি করা হয় যে, ইজ়রায়েল আকাশপথে হাসপাতালটির উপর হামলা চালায়।
এই আবহে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্যালেস্তিনীয় দূত একটি বিতর্কিত টুইটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “নেতানিয়াহুর ডিজ়িটাল মুখপাত্র একটি টুইট করে জানিয়েছিলেন ওই হাসপাতাল সংলগ্ন হামাসের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছেন তাঁরা। পরে তিনি ওই টুইটটি মুছে দেন। আমরা ওই টুইটের প্রতিলিপি রেখে দিয়েছি।” সুর বদল করে ইজ়রায়েল এখন নিরীহ প্যালেস্তিনীয়দের হামলার জন্য অভিযুক্ত করতে চাইছে বলেও দাবি করেন প্যালেস্তিনীয় দূত। এই সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি ইজ়রায়েল।
মঙ্গলবার গাজ়ার আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে। তেল আভিভ যদিও এই হামলার জন্য হামাসকেই দায়ী করে। ঘটনাচক্রে, ওই হাসপাতালটি হামাস দ্বারা পরিচালিত। সেখানে যুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা চলছিল। গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রায় ৫০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এই হামলায়। গত ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে আহত এবং ঘরছাড়া মানুষদের অনেকেই ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন এখনও অনেকে। ইজ়রায়েলের এই হামলা ‘যুদ্ধপরাধ’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে গাজ়া।