প্রতীকী ছবি।
হিজাব বিতর্ক নিয়ে ভারতীয় কূটনীতিককে তলব করল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। বুধবার রাতে পাকিস্তানি বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ইসলামাবাদে ভারতের চার্জ দা’ফেয়ারকে ডেকে পাঠিয়ে কর্নাটকের সাম্প্রতিক হিজাব-নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করা হয়েছে।
কর্নাটকের ক্লাসে হিজাব পরা নিয়ে বিতর্ক প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিকর সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে, ঘনিষ্ঠ মহলে এই আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন সাউথ ব্লকের কর্তারা। সেই আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত করে ইতিমধ্যেই ভারতের সমালোচনায় সরব হয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তিনি টুইট করেন— ‘‘ভারত আসলে মুসলিমদের কোণঠাসা করে রাখতে চাইছে। সারা বিশ্বকে এটা বুঝতে হবে।’’ পাক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেনও বলেন, ভারতে হিজাব নিয়ে যা যা হচ্ছে, তা ভয়ের। তাঁর কথায়, ‘‘হিজাব পরা কারও ব্যক্তিগত বিষয়। স্বাধীন দেশের নাগরিকদের সেই অধিকার দিতে হবে।’’
তার পরেই কাল রাতে চার্জ দা’ফেয়ারকে তলব করে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করায় স্পষ্ট, ঘটনাটি থেকে কূটনৈতিক ফায়দা তুলতে চায় ইসলামাবাদ। তবে এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে এক হাত নিতে ছাড়েনি মোদী সরকার। গতকালই নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপরে জঙ্গল-রাজ চলে। সে দেশে তাঁদের সামাজিক, শিক্ষাগত, ধর্মীয়— সব ধরনের অধিকার থেকে ভয়ঙ্কর ভাবে বঞ্চিত করা হয়। তাই এই বিষয়ে পাকিস্তানের ভারতকে জ্ঞান দেওয়া উচিত নয়। ভারতের সংস্কৃতি সে রকমই নয়। এখানে সব ধর্ম নিয়ে মিলেমিশে চলা হয়।’’
হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী পাকিস্তানি মালালা ইউসুফজ়ায়িও। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘হিজাব পরা মেয়েদের স্কুলে যেতে বাধা দেওয়া ভয়াবহ বিষয়। ভারতীয় রাজনীতিকেরা মুসলিম মহিলাদের কোণঠাসা করা বন্ধ করুন।’’