বিমানবন্দরে গাড়ি নিয়ে আসতে চাইছেন কর্মী।
বাজারে চড়া দামে বিকোচ্ছে জ্বালানি। এই পরিস্থিতিতে যাওয়া-আসার জন্য অফিস গাড়ি দেওয়া বন্ধ করায় গ্যাঁটের খরচে পেট্রল কিনে নিজের গাড়ি নিয়ে অফিসে আসা সম্ভব নয়। তাই, গাধার গা়ড়ি নিয়ে তাঁকে যাতে অফিসে আসার অনুমতি দেওয়া হয়, তার আর্জি জানালেন পাকিস্তানের অসামরিক বিমান সংস্থার এক কর্মী। অফিসকে দেওয়া চিঠিতে ওই কর্মীর আবেদন, ‘যে ভাবে পেট্রলের দাম বাড়ছে, তাতে আমার পক্ষে নিজের গাড়ি নিয়ে অফিসে আসা সম্ভব নয়। আমার গাধার গাড়িটা নিয়ে অফিসে আসতে চাই আমি। ওই গাড়ি যাতে আমি পার্কিং লটে রাখতে পারি, তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।’
পাকিস্তানের অসামরিক বিমান পরিষেবা দফতরের অধিকর্তাকে এই চিঠি দিয়েছেন ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মী রাজা আসিফ ইকবাল। গত ২৫ বছর ধরে এই বিমানবন্দরে কর্মরত তিনি। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধির জেরে শুধু গরিব মানুষেরই কোমর ভাঙেনি, ভেঙেছে মধ্যবিত্তেরও। এই পরিস্থিতির মধ্যেও অফিস যাতায়াতের জন্য গাড়ি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। পেট্রলের দাম যে ভাবে বাড়ছে, তাতে নিজের গাড়ি এখন বাইরে বের করাই সম্ভব নয়। তাই, আমার গাধার গাড়িটা নিয়ে অফিসে আসতে চাই আমি। ওই গাড়িটা যাতে বিমানবন্দরের পার্কিং লটে রাখতে পারি, তার অনুমতি দিন দয়া করে।’’
যদিও ইকবালের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে অফিস কর্তৃপক্ষ। দফতরের মুখপাত্র সইফুল্লা খান এই চিঠি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘প্রত্যেক কর্মীকেই জ্বালানির খরচ দেওয়া হয় অফিস থেকে। কর্মীদের জন্য মোটেই গাড়ি বন্ধ করা হয়নি। আর বিমানবন্দরের কর্মীদের জন্য মেট্রো বাস পরিষেবাও রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ প্রচারের আলোয় আসতে চাওয়া ছাড়া আর কিছু নয়।’’
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে লিটার প্রতি পেট্রল ২০৯.৮৬ টাকা আর ডিজেলের দাম ২০৪.১৫ টাকা।