—প্রতীকী চিত্র।
পোশাকে শখ করে আরবি ভাষায় ক্যালিগ্রাফি করিয়েছিলেন এক পাক তরুণী। সেই সিদ্ধান্তই কার্যত প্রাণ নিতে বসেছিল তাঁর। কয়েক জন পাক নাগরিকের মনে হয়, কোরানের কোনও বাণী পোশাকে ছেপে ওই তরুণী ধর্ম অবমাননা করেছেন। শুরু হয় বিক্ষোভ... একে একে দলে ভারী হতে শুরু করেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ যখন অকুস্থলে পৌঁছয়, তখন একটি রেস্তরাঁর কোণের টেবিলে বসে আতঙ্কে ঠকঠক করে কাঁপছেন ওই তরুণী। দু’হাত দিয়ে মুখ ঢাকা। উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে তাঁকে নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে, প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন তিনি।
যদিও পোশাকটিতে আরবি ভাষায় ‘হালওয়া’ কথাটি লেখা ছিল, যার অর্থ ‘সুন্দর’। পরে জানা যায়, কেউই আদতে জানতেন না পোশাকে কী লেখা রয়েছে। স্রেফ সন্দেহের বশেই তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা।
ঘটনাস্থল পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের লাহোর। পাকিস্তানে এমনিতেই ধর্মঅবমাননার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন। অনেক ক্ষেত্রেই জনরোষেরও শিকার হতে হয়। এ দিনও পরিস্থিতি সে দিকে যাচ্ছিল বলে জানান লাহোর পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেনডেন্ট সঈদা শেহরবানো। তাঁর কথায়, বেলা ১.১০ নাগাদ তাঁদের কাছে ফোন আসে। অকুস্থলে পৌঁছে তাঁরা দেখেন প্রায় ৩০০ লোক জমা হয়েছে রেস্তরাঁর সামনে। তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘ কথোপকথনের পরে ওই তরুণীর মুখ ঢেকে তাঁকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ডাক পড়ে বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা জানান, আরবি ভাষায় ‘সুন্দর’ লেখা রয়েছে। কোনও ভাবেই কোরানের কোনও বাণী লেখা নেই পোশাকে। পুলিশের তরফে সেই তথ্য প্রচার করা হয়। যদিও প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা তাহির মাহমুদ আশরফির মতে, ক্ষমা জনগণের প্রার্থনা করা উচিত। যে ভাবে না বুঝে ওই মহিলাকে হেনস্থা করা হল তা নিন্দনীয়।