আম্মাদ ইউসুফ। ছবি: সংগৃহীত।
রাষ্ট্রবিরোধী অনুষ্ঠান সম্প্রচারের অভিযোগে একটি টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার এক শীর্ষকর্তাকে গ্রেফতার করল পাকিস্তান সরকার। অভিযোগ, বুধবার গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই ওই কর্তার বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এই গ্রেফতারি নিয়ে মুখে কুলুপ পাক সরকারের।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এআরওয়াই নিউজ নামে পাকিস্তানের একটি বেসরকারি চ্যানেলের সিনিয়র এগ্জিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট আম্মাদ ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার ভোরে করাচির ডিএইচএ এলাকায় ইউসুফের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
ইউসুফের গ্রেফতারির পর একটি বিবৃতি জারি করেছে এআরওয়াই চ্যানেল। তাতে অভিযোগ, ‘বুধবার ভোরে আম্মাদ ইউসুফের করাচির বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়ে পুলিশ আধিকারিকদের দল। ওই দলে সাদা পোশাকের পুলিশ আধিকারিকেরাও ছিলেন। সিসিটিভি ক্যামেরার নজর এড়িয়ে ইউসুফের বাড়ির সদর দরজা দিয়ে জোর করে ঢুকে পড়েন তাঁরা।’
সংবাদমাধ্যমের দাবি, বুধবারই ধৃতকে শুনানিতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের বৈদ্যুতিন মিডিয়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা (পিইএমআরএ)।
প্রসঙ্গত, ইউসুফের গ্রেফতারির আগে কয়েক ঘণ্টা আগে পিইএমআরএ-র নির্দেশেই এআরওয়াই নিউজের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই চ্যানেলকে একটি নোটিস পাঠিয়ে পিইএমআরএ বলেছে, ‘পুরোপুরি জল্পনার উপর ভিত্তি করে আপত্তিকর, ঘৃণাপূর্ণ, রাষ্ট্রদ্রোহী অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য চ্যানেলটি বন্ধ করে দেওয়া হল।’ চ্যানেলটিকে ‘জাতীয় সুরক্ষার’ পক্ষে ক্ষতিকারক আখ্যা দিয়ে নোটিসে পিইএমআরএ-র অভিযোগ, ‘সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদের উদ্দেশ্যে এবং সেনায় বিদ্রোহ উস্কে দেওয়ার জন্য চ্যানেলে নানা সম্প্রচার চলছে।’