ইমরান খান। ছবি: রয়টার্স।
‘ধূসর তালিকা’তেই থাকছে পাকিস্তান । সূত্রের খবর, প্যারিসে চলা পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ( প্লেনারিতে) এমনটাই জানিয়েছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। সেই সঙ্গে এফএটিএফ জানিয়েছে, পাকিস্তান যদি এখনই লস্কর ও জইশের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে আর্থিক মদত দেওয়া বন্ধ না করে তা হলে আগামী দিনে তাদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানকে দেওয়া শর্তগুলো আগামী জুনের মধ্যে পূরণ করতে না পারলেও বড় সমস্যার মুখে পড়বে হবে বলে পাকিস্তানকে, হুঁশিয়ারি দিয়েছে এফএটিএফ।
পাকিস্তানকে আগেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল এফএটিএফ। ২০১৯-এর অক্টোবরের মধ্যে তাদের বেঁধে দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করার জন্য চাপ দিয়েছিল এফএটিএফ। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তা পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তান। ফলে তাদের ধূসর তালিকাতেই রেখে দেয় এফএটিএফ। সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল, ২০২০-র এপ্রিলের মধ্যে সব শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। এফএটিএফ তো বটেই, আন্তর্জাতিক মহল থেকেও ক্রমশ চাপ বাড়ছিল পাকিস্তানের উপর। গত জানুয়ারিতেই পাক বিদেশমন্ত্রী তড়িঘড়ি দাবি করেছিলেন, এফএটিএফ-এর বেঁধে দেওয়া শর্ত তারা ঠিক মতো পালন করছে। যথেষ্ট সদর্থক ভূমিকাও নিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু পাকিস্তানের এই দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিশ্বের কাছে নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরার একটা পুরনো কৌশল, তা ফের প্রমাণিত হল বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: লখনউয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র খুনের কিনারা, গ্রেফতার প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে
আরও পড়ুন: ‘মোদী তো বললেন এক কোটি মানুষ আমাকে অভ্যর্থনা জানাবেন আমদাবাদে!’
এফএটিএফ কোনও দেশকে ‘কালো তালিকা’য় ঢোকানোর আগে দু’টি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। একটি ‘ধূসর’। অন্যটি ‘আরও বেশি ধূসর’। এই দু’টি তালিকাভুক্ত করে এফএটিএফ-এর তরফে সংশ্লিষ্ট দেশকে দু’বার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।