বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ‘সমর্থন’ চাইলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের নেতা। —ফাইল চিত্র।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন (এসসিও)-র বৈঠকে যোগ দিতে চলতি মাসেই পাকিস্তানে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর পাকিস্তান সফর ঘিরে কূটনৈতিক মহলে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। এই মধ্যে শুক্রবার রাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে বসেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের এক নেতা। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা মহম্মদ আলি সৈয়ফের ‘আবদার’, জয়শঙ্করও যেন তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে তিনি দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন। বর্তমানে ইমরান রয়েছেন রাওয়ালপিণ্ডির এক জেলে। অন্য দিকে, বর্তমানে ক্ষমতাসীন শাহবাজ শরিফের সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা রাজনৈতিক প্রতিবাদ কর্মসূচি চালাচ্ছে ইমরানের দল। সংবিধান রক্ষা, বিচারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন চালাচ্ছে তারা। সেই প্রতিবাদে জয়শঙ্করকেও শামিল হওয়ার জন্য বলেছেন তিনি।
ইমরানের দলের নেতার ওই মন্তব্যের পর থেকেই পাকিস্তানের রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছিল। অস্বস্তি কাটাতে এ বার ওই মন্তব্যের দায় এ়ড়াল তেহরিক-ই-ইনসাফ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে উল্লেখ, বিতর্কের মাঝেই ইমরানের দলের বক্তব্য, তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বাইরের দেশের কোনও ভূমিকা নেই। তেহরিক-ই-ইনসাফের সভাপতি গওহর আলি খানের বক্তব্য, ‘‘সৈয়ফের ওই মন্তব্যের সঙ্গে পরিস্থিতির কোনও যোগ নেই।’’ দলীয় নেতার মন্তব্যকে ‘প্রসঙ্গ বহির্ভূত’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তাঁরা।
আগামী ১৫-১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে এসসিও সদস্য রাষ্ট্রগুলির বৈঠক রয়েছে। পাকিস্তানে এসসিও বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তবে সেখানে দ্বিপাক্ষিক কোনও আলোচনা যে হবে না, তা শনিবারই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্করের বক্তব্য, ‘‘বহুপাক্ষিক আলোচনায় যোগ দিতে যাচ্ছি। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি না।’’