জুলফিকার আলি ভুট্টো। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর বিচার ‘স্বচ্ছ ও যথাযথ আইনি পদ্ধতি’ মেনে হয়নি। বুধবার সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ সর্বসম্মত রায়ে এ কথা জানিয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ভুট্টো একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১৯৭৯ সালে তাঁর ফাঁসি হয়েছিল।
১৯৭৭ সালে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউল হক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন ভুট্টোকে। তার কিছু দিনের মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের সেনা সরকার। পরবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয় এক রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে খুনের অভিযোগ। পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র প্রতিষ্ঠাতা ভুট্টো সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু গোড়া থেকেই তাঁর পরিবার এবং দল ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগ তুলেছিল জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে।
বুধবার সাড়ে চার দশক আগেকার সেই রায়ের পুনর্মূল্যায়ন করে পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কাজি ফয়েজ ইশার নেতৃত্বাধীন ন’জন বিচারপতির বেঞ্চ। টিভিতে সম্প্রচার করা হয় সেই বিচারপর্ব। সর্বসম্মত রায় ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি ফয়েজ বলেন, ‘‘স্বচ্ছ এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনে সে দিন বিচার হয়নি। এই মামলায় বিস্তারিত রায় আমরা পরবর্তী সময়ে প্রকাশ করব।’’ প্রসঙ্গত, ভুট্টোর কন্যা বেনজির পরবর্তী সময়ে পাক প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। বেনজির-পুত্র বিলাবল বর্তমানে পাক শাসকজোটের অন্যতম নেতা।