ইমরান খান। ফাইল চিত্র।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দায়ের হওয়া মামলায় রায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত স্থগিত রাখল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার তৃতীয় দিনের শুনানির পর প্রধান বিচারপতি উমর আটা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।
বুধবার শুনানিপর্বে পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির আইনজীবী আলি জাফর অনাস্থা ভোটের আগেই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভাঙার দায় ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ প্রধানমন্ত্রী ইমরানের কাঁধে চাপিয়েছেন। বিচারপতি জামাল খান মান্ডোখলি জানতে চেয়েছিলেন, কেন প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভাঙার কারণ জানতে চাইলেন না প্রধানমন্ত্রীর কাছে? জবাবে জাফর বলেন, ‘‘সংবিধান অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ মানা প্রেসিডেন্টের কাছে বাধ্যতামূলক।’’
গত বৃহস্পতিবার পাক পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির জরুরি বৈঠকের অজুহাত দিয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক এড়িয়েছিলেন ইমরান। সরকারের প্রস্তাব মেনে ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি আগামী রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সভা মুলতুবির কথা ঘোষণা করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির সেই বৈঠকের বিবরণলিপি তলব করেছে সরকারের কাছে।
রবিবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধী জোটের তরফে পেশ হওয়া অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটির কথা থাকলেও ডেপুটি স্পিকার সুরি তা খারিজ করে দেন। তাঁর যুক্তি ছিল, বিদেশি শক্তির প্ররোচনায় আনা এই অনাস্থা প্রস্তাব আসলে সংবিধান-বিরোধী এবং তা দেশের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই এ নিয়ে কোনও ভোটাভুটি হতে দিতে পারবেন না তিনি। এর পরেই ইমরানের সুপারিশে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আলভি। তার প্রতিবাদে রাতেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা নেতৃত্ব। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে সোমবার থেকে শুনানি শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট।