মহম্মদ হাছান মাহমুদ। —ফাইল ছবি।
বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পরে রবিবার প্রথম বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন মহম্মদ হাছান মাহমুদ। সাক্ষাৎকার সৌজন্যমূলক হলেও সেখানে একাত্তরের গণহত্যার প্রসঙ্গ ওঠে। ঘটনাচক্রে, তার পরেই প্রথম ভারতীয় হিসেবে অসমের রীতা চৌধুরীর লেখা মুক্তিযুদ্ধের উপরে বই ‘নেভারল্যান্ড জ়িরো আওয়ার’ বিদেশমন্ত্রী মাহমুদের হাতে তুলে দেওয়া হল।
মাহমুদ জানান, তিনি মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষতের কথা তুলে ধরে পাক সরকারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনার বিষয়টি উঠিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত দিনলিপি ও কারাগারের দিনলিপির অসমিয়া অনুবাদও প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ হাছান মাহমুদ। তাঁর কথায়, মুক্তিযুদ্ধ পর্বে ভারতের অবদানের অনেক অংশ এখনও অজানা। অসমের হাফলংয়ে গেরিলা যুদ্ধের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর্বটি নানা কারণে অনুচ্চারিত ছিল। রীতার বই থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম অনেক তথ্য জানতে পারবে। এটি মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ দলিল হতে চলেছে।
বিএনপি দাবি তুলেছে, ভারতের সাহায্য নিয়েই শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশে ফের ক্ষমতা দখল করেছে। এই অভিযোগ নিয়ে তারা বিভিন্ন দেশের দূতাবাসেও বৈঠক করছে। তা নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারা নিজেদের রাজনৈতিক দুর্বলতা ঢাকতে বিভিন্ন দূতাবাসের দরজায় ঘুরছে।
অন্য দিকে তিনি জানান, মায়ানমারের যুদ্ধের জেরে, ভারতের মতো অনেক মায়ানমারের সেনা বাংলাদেশেও ঢুকেছেন। এমন ২৮৫ জনকে জলপথে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা হবে। এ নিয়ে ২২ এপ্রিল মায়ানমারের জাহাজকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওই জাহাজ আসার সময়ে সে দেশে আটকে পড়া ১৫০ জন বাংলাদেশিকেও নিয়ে আসা হবে।