Ban On Social Media

সমাজমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা, প্রস্তাব পাকিস্তানি সেনেটে

১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে অধিকাংশ দিনই এক্স হ্যান্ডলের পরিষেবা মিলছে না পাকিস্তানে। রওয়ালপিন্ডির প্রাক্তন কমিশনার লিয়াকত আলি চাট্টা সংবাদমাধ্যমের সামনে ভোটে কারচুপির অভিযোগ করার পরেই মূলত এটা লক্ষ করা যাচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪ ০৭:১৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

গত দিন পনেরো ধরে পাকিস্তানে বার বার ব্যাহত হচ্ছে মাইক্রো ব্লগিং-এর সমাজমাধ্যম-মঞ্চ ‘এক্স’। অনেকেই ইন্টারনেটে স্বাধীন ভাবে মতপ্রকাশের উপরে পুরোদস্তুর সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেমে আসার আশঙ্কা করছেন। এরই মধ্যে ‘তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যতের কথা ভেবে’ সমস্ত সমাজমাধ্যম-মঞ্চের উপরে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার প্রস্তাব এল পাকিস্তানের সেনেটে। সোমবারের অধিবেশনে আলোচ্যসূচিতে সেটি থাকতে পারে।

Advertisement

পাক পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ওই প্রস্তাব এনেছেন বাহরামন্দ খান টাঙ্গি। যিনি কিছু দিন আগেই ৮ ফেব্রুয়ারির ভোট পিছোনোর প্রস্তাব সেনেটে নিয়ে এসে বহিষ্কৃত হয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) থেকে। ১১ মার্চ টাঙ্গির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, সমাজমাধ্যম-মঞ্চগুলি পাকিস্তানের ধর্ম ও সংস্কৃতির পরিপন্থী নীতিপ্রচার করছে। এর ‘কুপ্রভাব’ তরুণ প্রজন্মের উপরে পড়ছে। ধর্ম আর ভাষার ভিত্তিতে সমাজমাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগও করেছেন তিনি। প্রস্তাবে বলা হয়েছে: পাক সেনার প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মতাদর্শ প্রচার করে দেশের স্বার্থ বিঘ্নিত করতে পারে, তাই সেনেট ফেসবুক, টিকটক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারকে সুপারিশ করুক।

১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে অধিকাংশ দিনই এক্স হ্যান্ডলের পরিষেবা মিলছে না পাকিস্তানে। রওয়ালপিন্ডির প্রাক্তন কমিশনার লিয়াকত আলি চাট্টা সংবাদমাধ্যমের সামনে ভোটে কারচুপির অভিযোগ করার পরেই মূলত এটা লক্ষ করা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন মানবাধিকার কর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এ ভাবে কোনও কারণ না দেখিয়ে জবাবদিহি ছাড়াই ইন্টারনেটে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা শুরু হতে পারে। কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছ, সরকার ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার কথাও ভাবছে। যাতে নজরদারি এড়িয়ে ইন্টারনেটে কোনও গতিবিধি সম্ভব না হয়। পাকিস্তানে ভিপিএন ব্যবহার করে সমাজমাধ্যম-মঞ্চে যান অনেকে। ফলে দেশের নেতামন্ত্রীদের ব্যঙ্গ করে তাঁরা সমাজমাধ্যমের কিছু প্রকাশ করলে তার উৎস খুঁজতে গিয়ে অন্য দেশের নাম মেলে। ভিপিএন নিষিদ্ধ হলে তার প্রভাব পড়বে বিভিন্ন পেশাক্ষেত্রেও। আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত দেশ তাতে আরও বিপাকে পড়বে বলে দাবি করে তথ্যপ্রযুক্তি এবং পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এই ধরনের কোনও পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement