পাকিস্তানের দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ (বাঁ দিকে) এবং ইমরান খান। —ফাইল ছবি।
সাধারণ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব পাশ করানো হল পাকিস্তানি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সেনেটে। সে দেশের সংবাদপত্র ‘ডন’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার সেনেটে মাত্র ১৪ জনের উপস্থিতিতে প্রস্তাবটি পাশ করানো হয়। প্রস্তাবটি পেশ করেন সেনেটের নির্দল সদস্য দিলাওয়ার খান। যদিও পাকিস্তানের শাসকজোটের অন্যতম শরিক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) এবং পাকিস্তানের তদারকি সরকারের তথ্যমন্ত্রী মুর্তাজা সোলাঙ্গি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু শুক্রবার সেনেটে পাশ হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভোট পিছিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হবে। এই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কারণ হিসাবে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে প্রবল শীত পড়া এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়াকেই দায়ী করা হয়েছে। প্রস্তাবক সেনেটে জানান, দেশের অধিকাংশ অ়ঞ্চলে মারাত্মক ঠান্ডা পড়েছে। তা ছাড়া দেশের বিভিন্ন রাজনীতিকের উপর হামলার চেষ্টার প্রসঙ্গ তুলে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন নির্দল সদস্য দিলাওয়ার। সম্প্রতি বালুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নিরাপত্তাবাহিনীর উপর হামলার প্রসঙ্গও সেনেটে উত্থাপন করেন তিনি।
তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, সেনেটে ভোট পিছোনোর প্রস্তাব পাশ হওয়ায় দেশে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে ভোট করানোর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়ার পরেও সেনেট এই ধরনের প্রস্তাব কেন পাশ করাল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।