Shahbaz Sharif

ঢের হয়েছে যুদ্ধ! ভারতের সঙ্গে শান্তি চেয়ে ‘কাশ্মীর-প্রস্তাব’ দিল ক্লান্ত পাকিস্তান

দুবাইয়ের একটি টিভি চ্যানেল আল আরাবিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা চান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৫
Share:

পুরনো শত্রু কি ভাল বন্ধু হবে? পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কি এমনই আশা করছেন। ফাইল চিত্র।

যুদ্ধ থেকে ছুটি চায় পাকিস্তান। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ক্রমাগত সংঘাত থেকে মুক্তি চায় তারা। বদলে পাকিস্তানের একটাই আশা— ‘শান্তি’। ভারতকে সেই শান্তির প্রস্তাব দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে কথা বলতে চান।

Advertisement

দু’দেশের সংঘাতের মূলে এই কাশ্মীর। ভূস্বর্গের অধিকার নিয়ে বহু বার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে দুই দেশ। বেধেছে যুদ্ধ। সেই সব যুদ্ধে প্রাণ গিয়েছে দু’দেশেরই কাতারে কাতারে সেনা জওয়ানের। শাহবাজ সেই সমস্ত যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। ৩টি যুদ্ধের জেরে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যেতে বসেছে পাকিস্তান। তাই আর যুদ্ধ নয়, এ বার পাকিস্তান শান্তি চায়।’’

দুবাইয়ের একটি টিভি চ্যানেল আল আরাবিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কাশ্মীর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চান। যাতে এই সমস্যার একটি যথাযথ এবং স্থায়ী সমাধান হয়। শাহবাজের শান্তি বার্তা— ‘‘ভারতীয় নেতৃত্বকে আমি বলতে চাই, আসুন আমরা একসঙ্গে বসে এক টেবিলে আমাদের যত গুরুতর সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে কথা বলি। কাশ্মীরের মতো জ্বলন্ত সমস্যাগুলির সমাধান করি। কারণ আমরা শান্তির বার্তা নিয়ে অগ্রগতি করব, না কি এই ঝগড়া এবং অশান্তি চালিয়ে নিয়ে যাব, তা পুরোপুরি আমাদের উপর নির্ভর করে।’’

Advertisement

গত প্রায় এক বছর ধরে গুরুতর আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে পাকিস্তান। যা সম্প্রতি দেশ জুড়ে খাদ্যসঙ্কট ডেকে এনেছে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন, আর্থিক ভাবে ধুঁকছে পাকিস্তান। হঠাৎ বোধোদয়ের তথা শান্তি আলোচনায় আগ্রহের কারণ কি এই সঙ্কটে নুইয়ে পড়া পরিস্থিতিই? এ প্রসঙ্গে শাহবাজ জানিয়েছেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে যে তিনটে যুদ্ধ হয়েছে, তাতে পাকিস্তান আরও দীনহীন হয়েছে। প্রতিটি যুদ্ধের পরবর্তী কালে দারিদ্রের সঙ্গে বেড়েছে বেকারত্বের সমস্যাও। আমরা এই অভিজ্ঞতা থেকেই শিক্ষা নিয়েছি। ঠেকে শিখেছিই বলা চলে।’’

কিন্তু এত বছরের সমস্যা কি এত দ্রুত বদলানো সম্ভব? সাক্ষাৎকারে শাহবাজের জবাব, ‘‘আমরা আমাদের প্রতিবেশী বেছে নিইনি। আবার তাদের মেনে না নেওয়ার কোনও অবকাশও নেই। আমাদের পাশাপাশি থাকতেই হবে। তাই আমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করব, না কি যুদ্ধ করে নিজেদের ক্ষতি করব!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement