ফাইল চিত্র।
ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর ধূসর তালিকাতেই রইল পাকিস্তান। সন্ত্রাসে টাকা পাচার সংক্রান্ত এই নজরদারি সংস্থাটি পাকিস্তানকে যে ৩৪ দফা অ্যাকশন প্ল্যান দিয়েছিল, তার মধ্যে দু’টি ক্ষেত্রে এখনও পদক্ষেপ করা বাকি রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইমরান খান প্রশাসনকে বকেয়া বিষয়গুলিতে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ করতে বলেছে এফএটিএফ। সেই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকেও গত কাল থেকে ধূসর তালিকায় আনা হয়েছে।
সন্ত্রাসে টাকা পাচার রুখতে না পারার জন্য ২০১৮ সালের জুন থেকে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রেখেছে এফএটিএফ। গত কালের প্লেনারি বৈঠকের আগেও মনে করা হচ্ছিল, অন্তত জুন পর্যন্ত ধূসর তালিকাতেই পাকিস্তানকে রাখা হবে। বাস্তবে তা-ই হয়েছে। বিশেষত মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় থাকা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির হাতে টাকা পৌঁছনো রোখার লক্ষ্যে পাকিস্তানকে আরও কাজ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এফএএটিএফ-কে উদ্ধৃত করে পাক সংবাদমাধ্যমে অবশ্য বলা হয়েছে, সন্ত্রাসে টাকা পাচার রুখতে পাকিস্তান বেশ কিছু দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। ২০২১ সালের জুন থেকে সাত দফা লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ছ’টি ক্ষেত্রে সন্তোষজনক পদক্ষেপ করেছে পাক প্রশাসন। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ২৭টি অ্যাকশন প্ল্যানের মধ্যে পদক্ষেপ করা হয়েছে ২৬টি ক্ষেত্রে। তদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়া-সহ বকেয়া ক্ষেত্রগুলিতেও পাকিস্তানকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছে এফএটিএফ। পাক কর্তারা জানাচ্ছেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যেই সম্পূর্ণ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী। পাক শক্তিমন্ত্রী হাম্মাদ আজ়হার টুইটারে লেখেন, ‘‘অভূতপূর্ব দ্রুততায় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এফএটিএফের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের থেকে পাকিস্তান আর মাত্র দু’টি ধাপ দূরে। টাকা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থ জোগানের বিরুদ্ধে আমাদের
লড়াই চলবে।’’