তালিকায় ফের নেমে যেতে পারে পাকিস্তান

ধূসর তালিকায় থাকা পাকিস্তানকে কি কালো তালিকাভুক্ত করা হবে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯ ০১:১৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে পুঁজির জোগান বন্ধ করতে বিশেষ কাঠামোর প্রশ্নে সদ্য একমত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। মমল্লপুরমের সেই মৈত্রী বাস্তবে কতটা প্রতিফলিত হবে, স্পষ্ট হতে চলেছে শীঘ্রই। শুক্রবার প্যারিসে শেষ হচ্ছে ছ’দিনের ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স-এর (এফএটিএফ) শীর্ষ বৈঠক। জঙ্গিদের অর্থ জোগান সংক্রান্ত নজরদারি সংস্থা তথা এফএটিএফ-এর বর্তমান নেতৃত্বভার চিনের কাছে।

Advertisement

ধূসর তালিকায় থাকা পাকিস্তানকে কি কালো তালিকাভুক্ত করা হবে? সূত্রের খবর, আপাতত কালো তালিকাভুক্ত না করা হলেও শেষ সতর্কীকরণ হিসেবে পাকিস্তানকে ‘গাঢ় ধূসর তালিকা’ভুক্ত করা হতে পারে। জঙ্গিদের পুঁজি জোগান রোধে যে ৪০টি পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল এফএটিএফ-র পক্ষ থেকে, তার প্রায় কিছুই করেনি ইসলামাবাদ। এফএটিএফ-এর সদস্য প্রায় সমস্ত রাষ্ট্রই এ ব্যাপারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রয়েছে বলে খবর।

এফএটিএফ-এর আইন অনুসারে ধূসর ও কালোর মধ্যে আর একটি স্তর রয়েছে— গাঢ ধূসর। এর অর্থ, কড়া সতর্কবার্তা। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট দেশকে শেষ সুযোগ দেওয়া। এই খাঁড়া থেকে সাময়িক রেহাই পেতে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে জোরালো দৌত্য করা হচ্ছে। চিনা নেতৃত্বের সঙ্গেও বিষয়টিনিয়ে সাম্প্রতিক সফরে কথা বলেনপাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আইএমএফ থেকে বড় ঋণের অপেক্ষায় আছেন তিনি। এফএটিএফ-এর কালো তালিকায় গেলে তা পাওয়া সম্ভব হবে না। বন্ধ হতে পারে অন্যান্য আন্তর্জাতিক ঋণ ও অনুদানও।

Advertisement

নয়াদিল্লি বিভিন্ন স্তরে পাকিস্তানের সন্ত্রাস-যোগের বিষয়টি তুলে ধরছে। আজ রাষ্ট্রপুঞ্জে নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক কমিটির ভারতীয় স্থায়ী প্রতিনিধি পঙ্কজ শর্মা বলেন, ‘‘বিশ্বের নিরাপত্তা এখন বিপজ্জনক জায়গায়। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসকে ঢাকতে গিয়ে কিছু দেশ পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement